‘দেয়ারও কেউ নেই নেয়ারও কেউ নেই’
তবু চেয়েছি দিতে উজাড় করে চাইনি কিছুই
একবুক ভালোবাসা ছাড়া।কতটুকু পেরেছি দিতে নিতে হিসাব কষিনি কখনো
তবে হাহাকারে পূর্ণ করেছি এ জীবন!
একদিন নদীকে বলেছিলাম, এক আজলা জল দেবে?
সঙ্গে সঙ্গে নদী মরুভূমি হয়ে গেল!
একবার পুষ্পোদ্যানের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়েছিলাম
দেখতে দেখতে পুষ্পোদ্যান শ্মশান হয়ে গেল!
সেবার গ্রামের পথে ঝাঁজালো রোদে পুড়ে
একটি পল্লবিত সবুজ বৃক্ষের সুশীতল ছায়ার নিচে দাঁড়িয়েছিলাম
মুহূর্তে গাছের সমস্ত পাতা চৈত্রদিনের মতন ধুলায় লুটিয়ে পড়ল!
খুব ভালোবেসে একটি শ্যামলিমা ভূমির মানচিত্র এঁকেছিলাম
মানব আর প্রকৃতি বিধ্বংসী জন্তু জানোয়ারে ভরে গেল!
মানুষের আর্তনাদে মানুষের পাশে গিয়ে যখনই যতবারই দাঁড়িয়েছি
বুকের ভেতরে রক্তগঙ্গা ব’য়ে গেছে!
যে নারীর কাছেই এতটুকু প্রণয় যাচনা করেছি
সেই প্রাগৈতিহাসিক প্রস্তরে পরিণত হয়েছে!