করোনাভাইরাসের এই মহামারীতে বিভিন্ন পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকে সাহায্য-সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছেন। কেউ নীরবে আবার কেউ প্রকাশ্যে এসব সাহায্য করছেন। কিন্তু সড়কের পাশে, রেলস্টেশন বা কোনো বাজারের কোনে ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় ভবঘুরে, ছিন্নমূল বা পাগল প্রকৃতির মানুষগুলোর খোঁজ আমরা নিচ্ছি তো?
এসব মানুষকে খুঁেজ বের করে করোনাকালে নীরবে মাস্কসহ খাবার সামগ্রী নিয়ে নিজেই মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন তরুণ ব্যবসায়ী সোহেল আহমেদ। কখনো তার সঙ্গী হতে দেখা গেছে তার স্ত্রীকেও। শুধু মানুষই নয়, রাস্তার না খাওয়া কুকুরগুলোর কাছেও খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন সোহেল আহমেদ। যার কাছে মানুষের আলাদা কোনো পরিচয় নেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে দিনাজপুর সদর পর্যন্ত মহাসড়কসহ আশপাশের ওইসব অসহায় মানুষের কাছে নিজ মোটরসাইকেলযোগে সাধ্যমতো খাবার সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। সেবা যেন নেশায় পরিণত হয়েছে তার। জানা যায়, টাকার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ, আর্থিক অভাবে বাল্যবিয়ে, সেবাবঞ্চিত, আর্থিক অভাবে সংসার চলে না, এ ধরনের যে কোনো মানুষের পাশে নিজে গিয়ে সাধ্যমতো সহযোগিতা করেন। আবার প্রতিবন্ধী কিংবা অটিজম শিশুদের সমস্যার কথা শুনে সহায়তা করতে ছুটে যান তিনি।