শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
সিটি করপোরেশন নির্বাচন

ইতালিতে কাউন্সিলর প্রার্থী তিন বাংলাদেশি নারী

শনিবারের সকাল ডেস্ক

ইতালিতে কাউন্সিলর প্রার্থী তিন বাংলাদেশি নারী

ইতালির রাজধানী রোমে আগামী ৩ ও ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হয়েছেন তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। জুমানা মাহমুদ ও লায়লা শাহ  এ দুই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী রোম সিটি করপোরেশনে আলাদাভাবে দুটি এলাকা থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া ফ্রাসকাটি সিটিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পাপিয়া আক্তার কাউন্সিলর নির্বাচন করছেন। এর মধ্যে লায়লা শাহ ৫ ও জুমানা মাহমুদ ৭ নম্বর মিউনিসিপি এলাকায় কাউন্সিলর পদে রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে প্রার্থী পদ ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যেই তারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এ বিষয়ে প্রার্থী লায়লা শাহ বলেন, ‘বর্তমানে ইতালিতে অনেক বাংলাদেশি রয়েছেন। আমাদের নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক দলে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারলে বাঙালি কমিউনিটি আরও সুনাম অর্জন করবে বলে আশা করি’। লায়লা শাহ দীর্ঘদিন ইতালিতে বসবাস করে আসছেন। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ইতালির বাঙালি কমিউনিটিতে তার বেশ সুনাম রয়েছে।  এ ছাড়া আরেক প্রার্থী জুমানা মাহমুদ বলেন, ‘দেশটির মূলধারার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারলে অভিবাসীদের সমস্যার কথাগুলো আমরা সহজেই স্থানীয় সরকারের কাছে পৌঁছাতে পারব’। তিনি রোমের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা করছেন এবং বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ইতালি প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। পাপিয়া আক্তার বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ফ্রাসকাটি শহরে বেড়ে উঠেছেন। এ শহরেই তিনি ২৫ বছরেরও বেশি সময় বসবাস করছেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ইতালিতে ন্যাশনাল সিভিল সার্ভিস করেন। পাপিয়া আক্তার ARCI ROMA-এর নির্বাচিত ডিরেক্টর এবং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের জন্য আইনি নির্দেশিকা ডেস্কের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। পাপিয়া এসাইলাম সেকার অ্যান্ড রিফিউজিস  প্রকল্পে একজন আইনি কর্মী, যাদের দায়িত্ব নিপীড়িত মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক সুরক্ষা চাওয়া এবং বিশেষ করে নারীদের জন্য নিবেদিত। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ইতালিতে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশিদের সাংস্কৃতিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সহযোগিতা করেছেন, যা স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বৈষম্যহীনতা, মানবাধিকার রক্ষা এবং নারী অধিকার রক্ষাসহ সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার অভিবাসীকে বিনামূল্যে আইনি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা প্রদান করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন।

পাপিয়া আক্তার সব সময় সামাজিক কাজে জড়িত ছিলেন এবং শহরের মানোন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছেন, সবার উন্নতি মানেই সমাজের উন্নতি আর তাই তিনি চান, সমাজ তথা শহরে কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে।

সর্বশেষ খবর