অসময়ে একই গাছের একডালে আম, অন্য ডালে আমের গুটি নয়তো মুকুল। যেন গাছে গাছে আমসহ মুকুলের সমারোহ। আমের আকার, রং হয়েছে মনকাড়া। আর অসময়ে বাজারে আমের দামও বেশি। অল্প বিনিয়েগে অধিক লাভবানের সুযোগ। বাণিজ্যিকভাবে এই আমের বাগান করে চমক সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন দিনাজপুরের বিরলের মমিনুল ইসলাম।
বাগানে প্রবেশের পর দেখা যায়, গাছে মুকুলের সমারোহ। কোনো ডালে আমের গুটি আবার কোনো ডালে আম ঝুলছে। অসময়ের এই ‘কাটিমন’ জাতের বারো মাসি আমের বাগান করে বাজিমাত করেছেন দিনাজপুরের বিরলের শহরগ্রাম ইউপির লক্ষ্মীপুর এলাকার মমিনুল ইসলাম। তিনি চাকরি করার পাশাপাশি এসব বাগান করেছেন। পরিবারের লোকজন ছাড়াও দুজন দেখাশোনার লোক রয়েছে তার। এ পর্যন্ত তিনি ৪০০ টাকা কেজি দরে ৩০ মণ আম বিক্রি করেছেন। আরও ৫ লাখ টাকার আম গাছে এই মুহূর্তে বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। লিজে নেওয়া সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে ৯৫০টি কাটিমন জাতের আম ধরেছে। এ ছাড়াও এই আমগাছের চারা করেও বিক্রি করছেন তিনি। এখনই ২০ হাজার চারা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বাগানে এ পর্যন্ত ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কাটিমন আম বছরে দুবার আবার কখনো তিনবার ফলন দিতে পারে। এ জাতের আম চাষ করলে অবশ্যই লাভবান হওয়া যাবে বলে জানান তিনি। কাটিমন আমের জাতটির মিষ্টতার জন্য বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে।