শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নারীর কর্মসংস্থানে অনুপ্রেরণা আরিফা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

নারীর কর্মসংস্থানে অনুপ্রেরণা আরিফা

নিজেই কিছু একটা করার প্রবল ইচ্ছা থেকে বাড়ির পাশে গড়ে তোলেন ‘জয়িতা সেন্টার’। সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা আর কর্মসংস্থান হয়েছে আরও তিন নারীর। সেলাইয়ের কাজের পরিসর বাড়িয়েই থেমে থাকেননি সফল উদ্যোক্তা আরিফা খাতুন। যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে ব্লক-বাটিক, নকশিকাঁথা এবং আরও কিছু সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ নেন তিনি। পরে বিভিন্ন সময়ে ৯০০ থেকে ১ হাজার নারীকে এসব প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে সহযোগিতাও করেছেন তিনি। সেসব নারীও সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা। এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবে গত কয়েক বছর উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে পুরস্কৃত হন তিনি। সেলাইয়ের কাজের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কাজে আরিফার রয়েছে সরব উপস্থিতি। ব্র্যাকের পল্লী সমাজ নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে এলাকার মানুষের বিপদ-আপদে এবং সামাজিক সমস্যায় এগিয়ে যান তিনি। এখন তার প্রতিষ্ঠান জয়িতা সেন্টার আর পরিবার সামলাতেই ব্যস্ত থাকেন আরিফা। উপজেলার নারীদের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম আরিফা। খানসামা উপজেলার অন্যসব মেয়ের মতোই এসএসসি পরীক্ষার এক বছর আগে ২০০০ সালে আরিফা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকে ‘নিজেই কিছু একটা’ করার প্রবল ইচ্ছা হৃদয়ে লালন করতেন আরিফা। সেই ইচ্ছাকে বাস্তবায়নে বিয়ের নয় বছর পর ২০০৯ সালে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ নেন আরিফা। সেই প্রশিক্ষণের পর তাঁর দেবরের দেওয়া একটি সেলাই মেশিন দিয়ে বাড়িতে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বিভিন্ন ধরনের পোশাক সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন।  দিন দিন কাজের চাপ বাড়ায় ২০১৫ সালে বাড়ির পাশে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আরও কিছু সেলাই মেশিন কিনেন তিনি। জয়িতা সেন্টারে কাজ করেন তিনজন কর্মচারী। এখন খরচ বাদে প্রতি মাসে তাঁর আয় হয় ১৫-২০ হাজার টাকা। সহায়তা পেলে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ আরও ব্যাপক পরিসরে করবেন বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর