শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
গৃহিণী থেকে সফল উদ্যোক্তা তাসলিমা নাসরিন

কেঁচো সারে সচ্ছলতা

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

কেঁচো সারে সচ্ছলতা

সংসারের সচ্ছলতা ফেরাতে কেঁচো সার উৎপাদন করে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন দিনাজপুরের গৃহিণী তাসলিমা নাসরিন। বাড়ির উঠানেই ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করে এখন খরচ বাদ দিয়েই মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি। ছোট পরিসরে শুরু করলেও খামারটি এখন বাণিজ্যিক খামারে রূপ নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্যাকেটজাত করে কেঁচো সার বিক্রির অনুমতি দিলে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি খামারের পরিসর আরও বাড়ানো যেত। এতে অনেক বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো এমনটাই বললেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মালদহ গ্রামের তাসলিমা নাসরিন।

তাসলিমা নাসরিন জানান, মালদহ গ্রামের এক কীটনাশক কোম্পানির মাঠকর্মী গোলাম রব্বানীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামীর আয়ে ঠিকমতো সংসার চলছিল না। অভাব-অনটন লেগেই থাকত। স্নাতক পাস করে স্থানীয় কৃষি সমিতির সঙ্গে যুক্ত হন। সমিতির মাধ্যমে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেন। রংপুর থেকে প্রথম জৈবসারের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালে নিজের গৃহপালিত গরুর গোবর ও বিদেশি কেঁচো কিনে বাড়ির উঠানে ১৪টি রিং বসিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেন। পরে উৎপাদিত সার স্থানীয় কৃষকদের কাছে বিক্রি করেন। ওই সারে ভালো ফলন হওয়ায় বেড়ে যায় চাহিদা। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে উৎপাদনও। এখন তার খামারে ১৩০টি রিংয়ে উৎপাদন হয় কেঁচো সার। শুরুর দিকে খামারে একা কাজ করলেও এখন চারজন শ্রমিক কাজ করেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, চার বছর আগে ৪ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করেন। এখন প্রতি ১ কেজি কেঁচো সার ১ হাজার টাকায় বিক্রি করেন ও জৈবসার ৪০০ টাকা মণ। প্রতি মাসে খামারে ১০-১২ কেজি কেঁচো ও ২০-২৫ মণ সার উৎপাদন হচ্ছে। কেঁচো ও সার বিক্রি করে মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয়। নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, ‘খেতে কেঁচো সার প্রয়োগে যে কোনো ফসলের ফলন ভালো হয়। ফসলের রোগবালাই কম হয়। মাটির গুণাগুণ বেড়ে যায়। কৃষি অফিস থেকে উদ্যোক্তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর