শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিস গানে কাকনের বিশ্ব রেকর্ড

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

শিস গানে কাকনের বিশ্ব রেকর্ড

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে শিস গানের ব্যবহার ও রেকর্ড দেখেই ইচ্ছা জাগে নিজেও কীভাবে এটি রপ্ত করা যায়। শখের বসেই শুরু করেছিলেন বাংলা গান নিয়ে হুইসেল বাজানো। আর ৫৭ সেকেন্ডে সবচেয়ে বেশিবার হুইসেল (শিস) বাজিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বুকস অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুললেন ঝালকাঠির ছেলে কুমার কাকন উজ্জ্বল। মাত্র ২৪ বছর বয়সী এই যুবকই পুরো বিশ্বের মধ্যে হুইসেল ক্যাটাগরিতে প্রথমবারের মতো ‘লংগেস্ট টাইম টু হুইসেল’ টাইটেলে এই রেকর্ডটি গড়েছেন। কাকনের জন্মস্থান ঝালকাঠি পৌর এলাকার সিটিপার্ক সড়কে। বাবা উত্তম কুমার রায় ঝালকাঠি পৌরসভায় চাকরি করেন এবং মা শিউলি রানী রায় পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। এই দম্পত্তির এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের মধ্যে কাকন বড়।

ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে এসএসসি পাস করেন। ২০১৮ সালে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ২০২২ সালে ভারত সরকারের অধীনে স্টাডি ইন ইন্ডিয়া (এসআইআই) স্কলারশিপ নিয়ে বেঙ্গালুরুর জেইন ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োকেমিস্ট্রি জেনেটিক্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

হুইসেল নিয়ে আমার পথচলা শুরু ২০১৮ সালে। তখন দেখেছি মানুষ এটিকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে এবং পছন্দ করেছে। এরপর থেকেই এটি নিয়ে আমার স্বপ্ন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে।
পড়াশোনার জন্য ভারতে অবস্থান করায় ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরু থেকে আবেদন করেন কাকন। পরবর্তীতে গত ১৪ ডিসেম্বর ইন্টারন্যাশনাল বুকস অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে ‘লংগেস্ট টাইম টু হুইসেল’ ক্যাটাগরিতে ভিডিও পাঠানোর পরে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তা গৃহীত হয়। গত মার্চ মাসে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বীকৃতি পান বাংলাদেশি এই তরুণ। বর্তমানে ভারতের বেঙ্গালুরুতে অবস্থান করছেন কাকন। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তিনি। এ বছরের শেষের দিকে ভারতে ইন্টার্নশিপ শেষ করে বাংলাদেশে এসে শিস গান ও সংগীত নিয়ে আরও বড় পরিসরে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন কাকন। পাশাপাশি একটি সংগীত একাডেমি করার ইচ্ছা রয়েছে তার।

কাকন বলেন, ‘হুইসেল নিয়ে আমার পথচলা শুরু ২০১৮ সালে। তখন দেখেছি মানুষ এটিকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে এবং পছন্দ করেছে। এরপর থেকেই এটি নিয়ে আমার স্বপ্ন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। সেই থেকেই ইচ্ছা ছিল হুইসেলের মাধ্যমে বাংলা গানকে পুরো বিশ্বের কাছে কীভাবে তুলে ধরা যায়। যেহেতু ছোটবেলা থেকেই আমি মিউজিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম তাই শিসগান অথবা হুইসেল আমার আয়ত্ত করতে খুব একটা কষ্ট হয়নি। আমি গর্বিত, বাংলা গানকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পেরেছি এবং সেই বাংলা গানে হুইসেল বাজিয়ে এটির বিশ্ব রেকর্ড করতে পেরেছি।’

সর্বশেষ খবর