শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রংপুরের ফুটবলে আলো ছড়াচ্ছেন তারা

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুরের ফুটবলে আলো ছড়াচ্ছেন তারা

কাজের সফলতা সবাই চায়। কেউ সফলতা পায় আবার কেউ পায় না। তবে দায়িত্ব পাওয়ার পর কারও মাথায় যদি সফলতার মুকুট উঠে এর আনন্দটাই আলাদা। তেমনি রংপুরে ফুটবলের কোচ ও ম্যানেজারের দায়িত্ব পাওয়ার পর দুই নারীর সফলতা অন্য নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথে উৎসাহ জোগাচ্ছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া জে এফ এ অনূর্ধ্ব ১২ জাতীয় মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর জেলা দল। আর এই রংপুর জেলা দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন রুমা আক্তার অতি ও টিম ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন রেখা আক্তার। তারা দুজন এবারই প্রথম কোচ ও টিম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।

কোচ রুমা আক্তার অতি ২০১৭ ও ২০১৮ বাংলাদেশ বয়স ভিত্তিক জাতীয় দলে খেলেছেন। সেবার ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই দলের সদস্য ছিলেন ডিফেন্ডার রুমা আক্তার অতি। শুধু তাই নয়; বাংলাদেশ রাগবী জাতীয় দলে খেলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে পাঁচ পয়েন্ট অর্জনকারী রুমা আক্তার অতি।

রুমা আক্তার অতি বলেন, আমাদের সিনিয়র শামীম খান ও মিলন মিয়া আমাকে কোচিংয়ে আসার সাহস জুগিয়েছেন, এটি মোটেও সহজ কাজ নয়। তাদের পথ অনুসরণ করছি কেবল। মেয়েরাও অসাধারণ খেলেছে, তাই বড় জয় পেয়েছি
টিম ম্যানেজার রেখা আক্তার নারী ফুটবল লীগ, বিভাগীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলেছেন। বয়স ভিত্তিক জাতীয় দলে ছিলেন, রেখাও খেলেছেন বাংলাদেশ রাগবী জাতীয় দলে। রুমা আক্তার অতির রয়েছে ‘সি ডিপ্লোমা’ কোচিং সার্টিফিকেট। এসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার জাতীয় পর্যায়ে চার ম্যাচে ৩৬ গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর দল। ফাইনালে মাগুরা জেলাকে ৬-০ গোলে হারায় রংপুরের দলটা।

রুমা আক্তার অতি কোচ মিলন মিয়ার স্ত্রী। তার ১৫ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি ময়মনসিংহের হারবার্ড এক্সসেস ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেছেন। তার বাড়ি রংপুর সদর উপজেলার রাম জীবন মৌলভীপাড়া গ্রামে।

রেখা আক্তারের বাড়ি রংপুর সদরের রামজীবন জানকি গ্রামে। তার বাবার নাম বুলবুল আহমেদ। তিনি পালিচড়া এম এন উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন।

রুমা আক্তার অতি বলেন, আমাদের সিনিয়র শামীম খান মিসকিন ও মিলন মিয়া সাহস জুগিয়েছে আমাকে কোচিংয়ে আসার জন্য, এটি মোটেও সহজ কাজ নয়। তাদের পথ অনুসরণ করছি কেবল। মেয়েরাও অসাধারণ খেলেছে তাই বড় জয় পেয়েছি।

রেখা আক্তার বলেন, আমার স্বপ্ন খেলাধুলার সঙ্গে থাকা, রংপুর আমার গর্বের জায়গা। এখানে কাজ করতে পারাটা ভাগ্যের বিষয়। তবে ধন্যবাদ দিতে হয় মিলন ভাই ও শামীম খান মিসকিন স্যারকে তারা আমাদের সব সময় পথ দেখান।

এদিকে রংপুরের ফুটবল কোচ মিলন মিয়া বলেন, আমাদের রংপুরের ফুটবলে নারীদের অনেক সফলতার গল্প রয়েছে। নারী ফুটবলাদের হাত ধরে তারা অনেক প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে এগিয়েছে। রংপুরের বিভাগীয় কোচ শামিম খান মিসকিন চিন্তা করেন অফিশিয়ালভাবে নারীরা এগিয়ে যাক এবং প্রথমবার কাজ করে তারা আমাদের অবাক করেছে। আশা করি নারীদের হাত ধরে ফুটবল আরও এগিয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর