শিরোনাম
শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রাণ-প্রকৃতির জীবন্ত কারিগর

নজরুল মৃধা, রংপুর

প্রাণ-প্রকৃতির জীবন্ত কারিগর

রংপুরে অসাধারণ ছবি তোলার দুই কারিগর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ এবং ব্যবসায়ী, সংগঠক ও লেখক রানা মাসুদ। তাদের ঝুড়িতে অসংখ্য ফুল-ফল, পাখি ও প্রকৃতির ছবি রয়েছে। কর্ম জীবনে শত ব্যস্ততার মধ্যেও তাদের ছবি তোলা বন্ধ হয়নি। সময় পেলেই চলে যান কোনো নদী কিংবা বনের কাছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে তারা ছবি তুলছেন অবিরাম।

ড. তুহিন ওয়াদুদ নদী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠন রিভারাইন পিপলের পরিচালক। তার উদ্যোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ শতাধিক প্রজাতির প্রায় ৩৭ হাজার গাছ রোপণ করা হয়েছে।

অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ দেশের একজন অন্যতম আলোকচিত্রী। মূলত প্রকৃতির ছবি তোলেন। তার তোলা পাখির ছবি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে তিনি বিরল অনেক পাখিরও ছবি তুলেছেন। তিনি পাখির ছবির বিশেষ বিশেষ মুহূর্ত ধারণ করার কাজ করেন। ফলে ছবিগুলো কেবল ছবি নয়, শিল্প হয়ে ওঠে। বিশেষ করে উড়ন্ত পাখির ছবি তোলায় তার মুনশিয়ানা লক্ষ্য করার মতো।

অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ছবি তোলা কেবল আমার শখ নয়, ছবির মাধ্যমে আমি প্রকৃতির প্রতি মানুষকে দায়িত্বশীলতায় সচেতন করতে চাই। আনন্দ এবং দায়বোধ দুটোর লক্ষ্য নিয়ে প্রকৃতির আলোকচিত্রী হতে চাই। প্রকৃতি ধ্বংস করে মানুষ বাঁচতে পারবে না।

এদিকে মূল নাম মো. মাসুদ রানা হলেও তিনি রানা মাসুদ নামে পরিচিত। রংপুর শহরের একজন ব্যবসায়ী ও সংগঠক। এ ছাড়া তিনি লেখালেখি করেন। মূল ধারার সাহিত্যের পাশাপাশি রংপুরের ইতিহাসনির্ভর বিভিন্ন লেখালেখির কাজ করছেন। এসব ছাপিয়ে একজন শৌখিন আলোকচিত্রী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। রানা মাসুদ পাখির ছবি তোলেন। এর পাশাপাশি ল্যান্ডস্কেপ ও ফুলের ছবি তোলা তার অন্যতম শখ। নিজেও ফুলের বাগান করেন।

যেখানেই পাখির সন্ধান পান ছুটে চলেন সেখানে ছবি তুলতে। রংপুর তথা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বন জঙ্গল, নদী, গ্রামগঞ্জে চলে যান ছবি তুলতে। রানা মাসুদ বলেন, ভবিষ্যতে আরও একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী করার ইচ্ছে আছে তার। নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের পাখ পাখালির পরিচিতি পৌঁছে দিতে ও পাখির প্রতি এই প্রজন্মকে আগ্রহী করতে চান তিনি।

সর্বশেষ খবর