শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্লাস্টিক সুতার ব্যাগ তৈরিতে কর্মসংস্থান

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

প্লাস্টিক সুতার ব্যাগ তৈরিতে কর্মসংস্থান

বগুড়ায় প্লাস্টিক সুতা থেকে ব্যাগ তৈরি করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে শত শত নারী-পুরুষের। সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন কারখানায় কয়েক শ নারী-পুরুষ এ কাজের সঙ্গে জড়িত। এতে একদিকে কমছে বেকারত্ব অন্যদিকে বাড়ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। ব্যাগ তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সংসারের অভাব দূর করে স্বনির্ভর হচ্ছেন তারা। এ শিল্পকে কেন্দ্র করে সোনাতলা উপজেলায় গড়ে উঠেছে বেশকিছু কারখানা। বগুড়ার চাহিদা মিটিয়ে এসব ব্যাগ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তাদের তৈরি এসব ব্যাগ খুলে দিচ্ছে আগামীর সম্ভাবনার দুয়ার।

জানা যায়, পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বোতলের কর্ক থেকে বগুড়ার কারখানায় তৈরি হচ্ছে সুতা। এ সুতা থেকে ব্যাগ তৈরি হচ্ছে সোনাতলার বালুয়াহাট কারিগরপাড়ায়। বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা প্লাস্টিকের বোতল থেকে বগুড়া শহরের চারমাথা, মাটিডালী এলাকায় ভাঙারি কারখানায় কর্ক পৃথক করা হচ্ছে। কর্কগুলো পরিষ্কার করে সেগুলো গলিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রঙের সুতা। এসব সুতা চলে যাচ্ছে সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট কারিগরপাড়ায়। সুতা প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে কারিগরপাড়ার বাড়িগুলোতে। প্রক্রিয়াজাত সুতা দিয়েই এ এলাকার কারখানাগুলোতে ব্যাগ তৈরি করা হচ্ছে। প্রতি মাসে প্রায় ৩ লাখ পিসের বেশি ব্যাগ তৈরি করেন এখানকার কারিগররা। সোনাতলার তৈরি এসব ব্যাগ জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ব্যাগ তৈরির কারিগর গোলাপী বেগম ও আলেয়া খাতুন জানান, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের কর্ক থেকে বিভিন্ন রঙের সুতা তৈরি করা হচ্ছে বগুড়া শহরে। সেখান থেকে সুতা কিনে বাড়িতেই প্রক্রিয়াজাত করেন তারা। পরে এসব সুতা দিয়ে তৈরি করছেন ব্যাগ। এসব ব্যাগ অন্য ব্যাগের চেয়ে অনেকটা শক্ত। বাজারে চাহিদাও ভালো। দাম ভালো পাওয়ায় এলাকার অনেকেরই এ কাজে আগ্রহ বাড়ছে। উদ্যোক্তারা জানান, ১ কেজি সুতা থেকে ৯ থেকে ১০টি ব্যাগ তৈরি হয়। আকারভেদে এসব ব্যাগ ২০ থেকে ৪০ টাকায় পাইকারি বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। সীমিত লাভে এসব ব্যাগ বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। সেক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতা পেলে এ ব্যবসার প্রসার ঘটবে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।

ব্যবসায়ী মতিউর রহমান জানান, বগুড়ার চারমাথা ও মাটিডালী এলাকায় বেশ কয়েকটি ভাঙারি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্লাস্টিক বোতল থেকে কর্ক পৃথক করা হয়। এরপর সেগুলো গলিয়ে সুতা তৈরির করছেন নারী-পুরুষরা। তিনি আরও জানান, প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকায় প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে শত শত পরিবার। কারখানায় কাজ করে নারী-পুরুষরা যেমন স্বনির্ভর তেমনি বাড়তি আয় করে সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা।

সর্বশেষ খবর