শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

দেশসেরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শেরপুরে

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

দেশসেরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শেরপুরে

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতসহ নয়নাভিরাম দৃশ্যে দেশসেরার তালিকায় উঠে এসেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সারা দেশের ৪৯২টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৯.৪৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথম স্থান অর্জন করেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাদে সারি সারি টবে সবুজের সমারোহ। গাছে গাছে ঝুলছে ফল। পুরো হাসপাতাল চত্বরে গড়ে উঠেছে মিনি ফুলবাগান। এমন নৈসর্গিকভাবে সাজানো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা সেবা নিতে এসে বেশ খুশি। নিরিবিলি পরিবেশ আর মনোরম দৃশ্য মন কাড়ছে উপজেলাবাসীর।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত অত্যাধুনিক চার তলাবিশিষ্ট ওপিডি ভবনসহ আরও ৪টি ভবন উদ্বোধন করা হয়। এমন অবকাঠামোগত সুবিধা থাকলেও হাসপাতালটিতে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা ছিল খুবই কম। পরে ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী লিংকনের হাত ধরেই স্বাভাবিক প্রসব কার্যক্রমের উদ্যোগ ও ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। তার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে মানুষের আস্থা ফিরছে স্বাভাবিক প্রসবে। ইতোমধ্যে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসবে উপজেলায় সাড়া ফেলেছে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ ছাড়াও দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়েছে। যেখানে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন হয়। পাশাপাশি এ হাসপাতালে প্রতি মাসে গড়ে অর্ধশতাধিক নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে। নবজাতকের জন্য উপহারের ব্যবস্থাও চালু রয়েছে। প্রায় ২২ বছর পর এ হাসপাতালে অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন চালু করা হয়েছে। প্যাথলজির সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাম, যক্ষ্মা রোগীদের জিন এক্সপার্ট পরীক্ষা, ইসিজি, এ এন সি এবং পি এন সি সেবা, সুসজ্জিত ডেন্টাল সার্ভিস, কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা, টেলি-মেডিসিন চিকিৎসাসেবা, হারবাল চিকিৎসাসেবা, ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশার রোগীদের জন্য এন সি ডি কর্নার, শিশুদের জন্য আই এম সি আই কর্নার ও কে এম সি কর্নারসহ রোগীদের জন্য অন্যান্য সব স্বাস্থ্যসেবা চালু রয়েছে। রোগী ও তাদের স্বজনদের খাবারের জন্য আছে ডাইনিং রুমের ব্যবস্থা। যানবাহনের জন্য রয়েছে নিরাপদ গ্যারেজ। ২০২১ সাল থেকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে পরিবেশ ও সেবার মান উন্নয়নের ফলে দৈনিক গড়ে প্রায় ৯০০ থেকে এক হাজার মানুষ এখান থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করে থাকেন।

ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী লিংকন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে যোগদানের পর থেকেই পাল্টে গেছে এর দৃশ্যপট। হাসপাতাল প্রাঙ্গণ দালাল মুক্ত হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি রোগীদের সঠিক সেবা নিশ্চিতে বদলে ফেলা হয়েছে ভিতরের পরিবেশ।

 

 

সর্বশেষ খবর