শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
সেলুন, বাস টার্মিনাল ও হাসপাতালে গড়ে উঠছে পাঠাগার

কুমিল্লায় পাঠাভ্যাস গড়ার অনন্য উদ্যোগ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লায় পাঠাভ্যাস গড়ার অনন্য উদ্যোগ

রামমালা ও বীরচন্দ্র গণপাঠাগার। কুমিল্লা নগরীতে অবস্থিত পাঠাগারগুলো উপমহাদেশ বিখ্যাত। ছিল বসন্ত পাঠাগারসহ বিভিন্ন পাঠাগার। নগরীতে পাঠাগার কমছে। কমেছে পাঠক। সেই পাঠক বাড়ানোর চেষ্টা করছেন কয়েকজন মানুষ। সেলুন, বাস টার্মিনাল ও হাসপাতালে তারা পাঠাগার স্থাপন করেছেন। আলোকিত বজ্রপুর নামের সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে তারা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সম্প্রতি নগরীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে রোগী অপেক্ষার স্থানে পাঠাগার স্থাপন করা হয়।

হাসপাতালের পরিচালক অ্যাডভোকেট তসলিমা বেগম বলেন, মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকার যুগে বই পড়ানোর চেষ্টা একটি ভালো উদ্যোগ। আলোকিত বজ্রপুরের উদ্যোগ আরও সম্প্রসারিত হোক।

এদিকে এর আগে নগরীর সাতটি সেলুনে পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। তার একটি নগরীর হাউজিং গোল মার্কেট এলাকার সুপার হেয়ার কাটিং সেলুনে।

সেলুনের গ্রাহক স্থানীয় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, সেলুনে সিরিয়ালের জন্য এসে বসে থাকতে হয়। তবে বই পড়ে সময় কেটে যায়। এটি একটি ভালো উদ্যোগ।

অপরদিকে নগরীর জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনালে যাত্রী অপেক্ষার কক্ষেও পাঠাগার স্থাপন করা হয়।

আলোকিত বজ্রপুরের সংগঠক মো. রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, বর্তমান প্রজন্মের যেন বই পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় সে জন্য আমরা মানুষের বিভিন্ন অপেক্ষার স্থানে পাঠাগার করেছি। আমাদের এই উদ্যোগ চলমান থাকবে।

ইতিহাসবিদ আহসানুল কবীর বলেন, কুমিল্লা শুধু ব্যাংক ও ট্যাংকের শহর নয়। কুমিল্লা পাঠাগারেরও শহর। এক সময় প্রতিপাড়ায় পাঠাগার ছিল। আলোকিত বজ্রপুর সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।

আলোকিত বজ্রপুরের প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদ রানা চৌধুরী বলেন, আমরা মানুষের পাঠ্যাভ্যাস ফিরিয়ে আনতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। সেলুন, বাস টার্মিনালের পরে হাসপাতালে রোগী অপেক্ষার স্থানে পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি আমাদের এ উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।

 

 

সর্বশেষ খবর