শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ট্রাইকো কম্পোস্টের বাড়ছে চাহিদা

আবু সিদ্দিক, চরফ্যাশন (ভোলা)

ট্রাইকো কম্পোস্টের বাড়ছে চাহিদা

ট্রাইকো-কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে বেশি ফলন হওয়ায় খুশি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষকরা। জমির উর্বরতা ও সক্ষমতা বাড়াতে কৃষকরা রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে ট্রাইকো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করায় এর চাহিদা বেড়েছে।

কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সানাউল্লাহ আজম বলেন, ট্রাইকো- কম্পোস্ট জৈব সার মাটিতে বসবাসকারী ট্রাইকোডার্মা ও অন্যান্য উপকারী অণুজীবের সংখ্যা বাড়িয়ে অনুর্বর মাটিকে দ্রুত উর্বরতা দান করে এবং ক্ষতিকর ছত্রাককে ধ্বংস করে। মাটির গঠন ও বুনট উন্নত করে। এ সারের অপর নাম ভার্মি কম্পোস্ট সার। ট্রাইকো সার পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় উপকারী অণুজীবের সংখ্যা বাড়ায়। উদ্যোক্তাদের দাবি কৃষি বিভাগের উদ্যোগে জমির উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে নিরাপদ ফসল উৎপাদন বাড়াতে ট্রাইকো কম্পোস্ট সারের উৎপাদন বাড়াতে হবে। উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিবেশবান্ধব এ সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা সম্ভব। ভোলার চরফ্যাশনের জিন্নাগড় ইউনিয়নের কুতুবগঞ্জ এলাকার ক্ষুদ্র কৃষি উদ্যোক্তা সোলাইমান বলেন, গোবর, চাউলের কুড়া- ভুসি, নিমপাতা ও বিভিন্ন জৈব আবর্জনা ব্যবহার করে পরিবেশ সহিষ্ণু ট্রাইকো কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেন। উদ্যোক্তা সোলাইমান মিয়া জানান, নিজ বাড়ির ভিতরে তৈরি প্লান্টে পরিবেশবান্ধব ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন করেন। ২/৩ বছর আগে চরফ্যাশনে জাতীয় পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবী ‘পরিবার উন্নয়ন সংস্থা’র (এফডিএ) কৃষি বিষয়ক একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে ট্রাইকো কম্পোস্ট সার উৎপাদনের বিষয়ে জানতে পারেন। পরে এ সংস্থা থেকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান নিয়ে নিজ বাড়িতে এ সার উৎপাদন করেন। তার ট্রাইকো কম্পোস্ট সার প্লান্ট থেকে মাসিক ১৫ টন সার উৎপাদিত হয়। এতে খরচ বাদ দিয়ে মাসে প্রায় আশি থেকে নব্বই হাজার টাকা আয় হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রোকনুজ্জামান বলেন, মাটির সুরক্ষা ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ট্রাইকো কম্পোস্ট সারের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সরকারি ঋণসহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

সর্বশেষ খবর