শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

কানসাট আমবাজারে জমজমাট বেচাকেনা

মো. রফিকুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

কানসাট আমবাজারে জমজমাট বেচাকেনা

আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছর উৎপাদন কম হলেও দাম বেশি পাওয়ায় খুশি আমচাষি ও বাগান মালিকরা। বর্তমানে এশিয়ার বৃহত্তর কানসাট আমবাজারে জমে উঠেছে বেচাকেনা। বাজারটি ঘিরে প্রতিবছর প্রায় ৫০০ আড়ত গড়ে উঠেছে এবং কর্মসংস্থান হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের। এ বাজার থেকে সারা দেশে বাজারজাত হচ্ছে নানা জাতের সুস্বাদু আম। চলতি মৌসুমে আম উৎপাদন কম হলেও দাম বেশি পাচ্ছেন চাষিরা। আর ক্রেতারা বলছেন, বেশি দামে এ বছর আম কিনতে হচ্ছে। এই মৌসুমে কানসাট আমবাজারে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হয় বলে দাবি আড়তদার সমিতির নেতাদের। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর জেলা থেকে দেশের বাইরে আম রপ্তানির বিষয়ে কাজ চলছে। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছর দেরিতে আমের মুকুল আসে। পরে আবার তাপপ্রবাহের ফলে আমের ফলন আশানুরূপ হয়নি। তারপরও দেশের সর্ববৃহৎ আমবাজার চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটের চিত্র ভিন্ন। আমচাষি ও ব্যাপারীদের হাঁকডাকে মুখরিত এ বাজারটি। এরই মধ্যে বাজারে দেশসেরা খিরসাপাত, ল্যাংড়া আম প্রায় শেষ হলেও ফজলি, আম্রপালিসহ নানা জাতের আমের বেচাকেনা চলছে প্রতিদিনই। স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ব্যাপারীদের আনাগোনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমচাষি, ব্যবসায়ী ও বাগানিরা বলছেন, চলতি মৌসুমে গাছে আম কম হলেও ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। আর বেশি দামে আম বিক্রি করতে পেরে খুশি তারা। তবে ওজন নিয়ে রয়েছে অসন্তোষ। কারণ ৪০ কেজি মণ হলেও এখানে ৫২ থেকে ৫৪ কেজিতে মণ দিয়ে আম বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। এদিকে বাইরের আম ব্যাপারীরা বলছেন, এ বছর আম কম হওয়ায় আম চাষিরা কম দামে আম বিক্রি করছেন না। তাই এ বছর দেশের সবচেয়ে বড় আমবাজার থেকে আম ক্রয় করাটা কিছু কঠিন হচ্ছে এবং বেশি দামে আম ক্রয় করে লাভের আশা করা অসম্ভব হবে। এদিকে কানসাট আম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু জানান, কানসাট আম বাজার থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ ট্রাক আম দেশের বিভিন্ন স্থানে যায় এবং প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হয়।

 

সর্বশেষ খবর