শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

বন্যায় কুমিল্লা অঞ্চলের তিন জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ১৬০ হেক্টর ফসলি জমি। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। এ নিয়ে হতাশ কৃষকরা। তবে বন্যাদুর্গতদের কষ্ট লাঘব করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে কৃষি বিভাগ। হাতে নেওয়া হয়েছে আমন ও রবি মৌসুমে সহায়তা কর্মসূচি।

লাকসামের নশরতপুরের কৃষক কামাল হোসেন ও বুড়িচং উপজেলার রামপুরের কৃষক রহিম মিয়া বলেন, পানিতে ফসল তলিয়ে গেছে। আগামী ফসলের বীজতলা করার জমিও নেই। কী করব বুঝতে পারছি না। ধানের চারা সহযোগিতা পেলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব।

কৃষি বিভাগের সূত্র জানায়, বন্যা পরবর্তীতে আমন মৌসুমে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) থেকে ১১৬ একর জমির জন্য বিনার বিভিন্ন জাতের ৪৪০০ কেজি বীজের চারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রে ও জমিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৩০০০ কেজি বীজ সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে, যা দিয়ে ২৫০ একর জমি প্রস্তুত করা যাবে। রবি মৌসুমে বিনা সরিষা৯ পাঁচ টন ও বিনা সরিষা-১১এর ৭০ টন বীজ সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে। যা ৩৫ হাজার একর জমিতে বপন করা যাবে। এ ছাড়া ২০০ একর জমির জন্য মাষকলাইয়ের জাত বিনা মাষ-২ তিন টন, ২০০ একর জমির জন্য বিনা খেসারি-১ তিন টন, ৯ হাজার একর জমির জন্য বিনা তিল-২ ২০ টন, ২৩৮ একর জমির জন্য বিনা চিনাবাদাম-৪, ৬, ৮ দশ টন, ১৩ হাজার ৩৩৩ একর জমির জন্য বিনা ধান-২৫ এর বীজ সহায়তা হিসেবে প্রদানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার বিঘা জমিতে ২০০০টি প্রদর্শনীর জন্য সার ও বীজ প্রদান করা হবে। সূত্র আরও জানায়, ইতোমধ্যে কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের আমন ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। উৎপাদিত চারা কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিসপ্রধান ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বন্যা পরবর্তীতে দ্রুত পরিত্রাণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষকের পুনবার্সনের জন্য এখনই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। বন্যাদুর্গত অঞ্চলের মধ্যে যেখানে দ্রুত পানি কমে যায়, ওইসব জায়গায় ধানের চারা ও বীজ সহায়তা দেওয়া হবে। পানি ধীরে কমছে এমন অঞ্চলে সরিষা, তিল, মাষকলাই, চিনাবাদামের বীজ দেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর