১২ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৫৯

কবে ভারতের হাতে আসছে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান?

অনলাইন ডেস্ক

কবে ভারতের হাতে আসছে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান?

ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (এএমসিএ) তৈরির জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি (দ্য ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস)। সিসিএস এই সপ্তাহেই এএমসিএ তৈরির জন্য অনুমোদন দিয়েছে।

নতুন প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমান তৈরির পুরো প্রকল্প দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)’-এর ‘অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এডিএ)’-কে। এই প্রথম স্টেলথ যুদ্ধবিমান হাতে আসতে চলেছে ভারতের।

বিমানটির নকশাও তৈরি করবে এডিএ। যুদ্ধবিমানটি তৈরি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল)’। 

এই যুদ্ধবিমানে দু’টি ইঞ্জিন থাকবে, যার ওজন আনুমানিক ২৫ হাজার কেজি। ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে যে যুদ্ধিবিমানগুলি রয়েছে, এএমসিএ-র আকার তার তুলনায় বড় হবে। এডিএ-তে থাকা এএমসিএ-র প্রজেক্ট ডিরেক্টর কৃষ্ণরাজেন্দ্র নীলি জানিয়েছেন, নতুন এই যুদ্ধবিমানটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের হাতে থাকা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের সমতুল্য বা আরও উন্নত হবে।

এএমসিএ যুদ্ধবিমানের পেটের ভেতরে থাকবে বিভিন্ন পাল্লার অস্ত্র রাখার জায়গা। বিমানটির মধ্যে থাকবে ৬৫০০ লিটার জ্বালানি ধারণে সক্ষম একটি বড় ট্যাঙ্ক। এএমসিএ এমকে১ যুদ্ধবিমানে থাকবে ৯০ কিলোনিউটন শ্রেণির আমেরিকার জিই ৪১৪ ইঞ্জিন। 

এএমসিএ নিয়ে ভারত স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ২০০৭ সালে। আলোচনাও শুরু হয় সেই সময়। প্রাথমিক ভাবে পরিকল্পনা ছিল রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে বিমানটি তৈরি করার। তবে ২০১৮ সালে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে ওই বিমান তৈরির প্রকল্প থেকে সরে আসে। নিজেরাই দেশীয় পদ্ধতিতে এই যুদ্ধবিমান তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার।

এর আগে নতুন প্রজন্মের একক ইঞ্জিনযুক্ত তেজস যুদ্ধবিমান তৈরিতে হাত লাগিয়েছিল ভারত। এর পর আবার দেশীয় পদ্ধতিতে বিমান তৈরির সিদ্ধান্ত নিল ভারত। এডিএ আগামী সাড়ে চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এএমসিএ তৈরি করে ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিমানটিকে আরও অত্যাধুনিক বানাতে সময় লাগবে প্রায় ১০ বছর। মাত্র কয়েকটি দেশের হাতে পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে আমেরিকা (এফ-২২ র‌্যাপ্টর এবং এফ-৩৫এ লাইটিনিং-২), চিন (জে-২০ মাইটি ড্রাগন) এবং রাশিয়া (সুখোই সু-৫৭) ও তুরস্ক (কান)। 

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর