চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক যুগান্তকারী সাফল্যই বলা যায়। এমন ঘটনা বিশ্বে এই প্রথম ঘটেছে। বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে জিন থেরাপি ট্রায়ালে অংশ নিয়ে শ্রবণশক্তি ফিরে পেয়েছে একটি ব্রিটিশ শিশু।
ওপাল স্যান্ডি নামের কন্যা শিশুটি ‘অডিটরি নিউরোপ্যাথি’ রোগের জন্য শ্রবণ প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্ম নেয়। এই রোগের ফলে কানের ভেতর থেকে মস্তিষ্কের বিভিন্ন স্নায়ুর কার্যকলাপে ব্যঘাত ঘটে।
তবে মাত্র একটি থেরাপি নেওয়ার পরই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। অবস্থারও আরও উন্নতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখন প্রায় স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু শুনছে ১৮ মাসের শিশুটি।ওপালের চিকিৎসা হয়েছে কেমব্রিজের ‘অ্যাডেনব্রুক’স হসপিটালে’। এই ট্রায়ালের নেতৃত্ব ছিলেন অধ্যাপক মানোহার বান্স। তিনি বলেছেন, যতোটা ভেবেছিলেন ফলাফল তার চেয়েও অনেক ভালো হয়েছে। ফলে এ ধরনের শ্রবণজনিত রোগ নিরাময় করার সম্ভাবনাও বাড়ছে।
এই চিকিৎসক বলেছেন, ‘ওপালের অবস্থা অনেকটা স্বাভাবিকভাবে শুনতে পাওয়ার কাছাকাছি। তাই আমরা আশা করি, এ রোগ নিরাময় করা সম্ভব।’
অডিটরি নিউরোপ্যাথি মূলত ‘অটফ’ নামের জিনে থাকা এক ত্রুটি। ‘অটফেরলিন’ নামের প্রোটিন তৈরির মাধ্যমে কানের মধ্যে থাকা বিভিন্ন কোষের সঙ্গে শ্রবণ স্নায়ুর সংযোগ স্থাপনে ভূমিকা রাখে এটি।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওপালের ডান কানে একটি কার্যকরী জিন বসানো হয়েছিল। যে চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করেছে বায়োটেক কোম্পানি ‘রেজেনারন’।
অস্ত্রোপচারের মাত্র চার সপ্তাহ পরই ওপালের মা বাবা তার অবস্থা পরিবর্তনের লক্ষণ খুঁজে পান। যা আরও ভালোভাবে বোঝা গেছে ২৪ সপ্তাহ পর।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল