বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

স্বর্ণযুগে বাংলাদেশের স্বর্ণশিল্প

সমিত ঘোষ (অপু), সহসম্পাদক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস), স্বত্বাধিকারী, ফেন্সী জুয়েলার্স

স্বর্ণযুগে বাংলাদেশের স্বর্ণশিল্প

আবহমান বাংলার সঙ্গে সমগ্র বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের গহনার এক বিশাল সম্পর্ক বিদ্যমান। সময়ের আবর্তনে বিশ্বের সব মূল্যবান সৃষ্টির সঙ্গে স্বর্ণ এক বিশাল স্থান করে নিয়েছে। আধুনিক জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে স্বর্ণ ও হীরা যেমন পুরুষ-নারী উভয়ের সৌন্দর্য ও যোগ্যতাকে বিকশিত করেছে তেমনি এই মূল্যবান ধাতুটি মানুষের জন্য হয়েছে এক ভরসার সম্পদ হিসেবে। জুয়েলারি ও স্বর্ণশিল্পের এ বিশাল সম্ভাবনার বিষয়টি অনুধাবন করে পার্শ¦বর্তী দেশসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো আধুনিক অলংকার তৈরির সরঞ্জামসহ এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে যেমন এক অনন্য উচ্চতায় নিয়েছে তেমনি পৃথিবীর বুকে স্বর্ণের জুয়েলারির জন্য নিজেদের এক ব্র্যান্ডে পরিণত করতে সফল হয়েছে। আজ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে এক অনন্য সফল দেশের নাম। যদিও আমাদের শিল্প দীর্ঘদিনের, তবুও আমরা নিজেদের শিল্পকে যতটুকু এগিয়ে নিতে পেরেছি তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বিগত এক বছরে আমাদের শিল্প দেশ ও এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম এক ব্যবসায়ী সংগঠন, যা ইতোমধ্যে গত এক বছর দুই মাসে দেশব্যাপী সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে এবং এর প্রভাবে আমরা বিশ্বের স্বর্ণশিল্পের এগিয়ে যাওয়া দেশগুলোর থেকেও সম্মাননা পেতে সক্ষম হয়েছি।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম এক ব্যবসায়ী সংগঠন যা ইতোমধ্যে গত এক বছর দুই মাসে দেশব্যাপী সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে এবং এর প্রভাবে আমরা বিশ্বের স্বর্ণশিল্পের এগিয়ে যাওয়া দেশগুলোর থেকেও সম্মাননা পেতে সক্ষম হয়েছি।

বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের এ অনন্য পরিবর্তন ও উন্নয়নে যে একজন ব্যক্তির নাম বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পে আজীবন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তাঁর নাম বাজুসের মাননীয় প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সায়েম সোবহান আনভীর। তাঁর জুয়েলারি শিল্প নিয়ে দীর্ঘদিনের চিন্তাভাবনার ফসল আজকের বাংলাদেশের আধুনিক জুয়েলারি সংগঠন শিল্পের বিকাশে তিনি বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প ও শিল্পীদের বিশ্বের বুকে এক নতুন পরিচয় দেওয়ার জন্য যে দিক দেখাচ্ছেন তাতে হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণশিল্পীরা নতুন আশা দেখতে পেরেছেন। তারা আজ নতুন প্রজন্মকে নিয়ে ভাবছেন আধুনিক শিল্পকারখানা তৈরির দিকে। তারা আধুনিক এবং সুন্দর অলংকার তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে তৈরি করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ববাজারে পৌঁছে দিতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা ও আমরা যারা জুয়েলারি শিল্পের সঙ্গে জড়িত তারা আজ সবাই এক স্বপ্নে আবদ্ধ যা আমাদের মাননীয় বাজুস প্রেসিডেন্ট মনে ধারণ করেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের শিল্প পৃথিবীব্যাপী পরিচিতি লাভ করবে এবং বিশ্বে সবাই পরিচিত হবে আমাদের স্বর্ণ ও স্বর্ণের গহনা ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নামে এ জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার একসঙ্গে ৪০ হাজার সদস্যের পরিবার ‘বাজুস’ মাননীয় প্রেসিডেন্ট ‘সায়েম সোবহান আনভীরের’ কাছে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। আমাদের প্রতিষ্ঠান ‘ফেন্সী জুয়েলার্স’ ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ জুয়েলারি ব্যবসা সুনামের সঙ্গে পরিচালনা করছি এবং আজ আমরা বাজুসের এক ছাতার নিচে ৪টি শাখা পরিচালনা করছি। অনন্য সুন্দর ডিজাইনের স্বর্ণ ও হীরার গহনা বিক্রি করে আজ আমরা আমাদের সম্মানিত গ্রাহকদের মাঝে এক বিশ্বস্ততার জায়গা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। ফেন্সী জুয়েলার্স শুধু গহনা বিক্রি করে গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি গ্রাহকের বিক্রয়োত্তর সেবা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সর্বদা সচেষ্ট। আমাদের ব্যবসার শুরু থেকে আমরা গহনার মানকে সঠিক রাখাকে আমাদের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে মনে করি। দীর্ঘ এ সময়ের ব্যবসায় সর্বদা আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি গ্রাহকদের কাছে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সঠিক মান ও আধুনিক অনন্য সুন্দর ডিজাইনের গহনা পৌঁছে দিতে। আমরা মনে করি দীর্ঘ সময়ের এ ব্যবসায়িক যাত্রায় আমরা গ্রাহকের যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি তা আমাদের সবচেয়ে বড় মূলধন ও প্রাপ্তি। এক্ষেত্রে বাজুস সর্বদা এক শক্তি হিসেবে কাজ করে। আমরা ফেন্সী পরিবার মনে করি আমাদের ও আমাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাননীয় প্রেসিডেন্ট যে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন আমরা আরও অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে যাব এবং আমাদের দেশের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা দিতে পারব এবং এখন সময় এসেছে শুধু দেশ নয়, পৃথিবীর বুকে নিজেদের তুলে ধরার। স্বর্ণযুগে বাংলাদেশের স্বর্ণশিল্পের সঙ্গে একাগ্র থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।

সর্বশেষ খবর