রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

জীবনযাত্রা সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছে হোম অ্যাপ্লায়েন্স

এম এ রাজ্জাক খান রাজ, চেয়ারম্যান, মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ, ভাইস প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই

জীবনযাত্রা সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছে হোম অ্যাপ্লায়েন্স

মানুষের জীবনযাত্রা সহজ থেকে সহজতর করেছে হোম অ্যাপ্লায়েন্স। এসি, টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, হটপটসহ নানা ধরনের ব্যবহার্য ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র মানুষকে প্রতিদিনের বাজার করার ঝামেলা থেকে রেহাই দিয়েছে। ঠিক তেমন পচনশীল খাবারের পচনও রোধ করেছে ঘরে ব্যবহৃত এসব ইলেকট্রনিক্স পণ্য; যা মানুষের জীবনযাত্রায় ও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে এনেছে এক অভাবনীয় পরিবর্তন। এসব পণ্য রপ্তানি করেও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আয় হচ্ছে। অথচ একটা সময় ছিল এসব পণ্যের চাহিদার পুরোটাই বিদেশ থেকে আনতে হতো। এতে বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হতো। এখন একদিকে দেশের চাহিদা মেটাচ্ছে, অন্যদিকে রপ্তানিও হচ্ছে বলে মনে করেন মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ রাজ্জাক খান রাজ। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুনিয়া এগিয়ে চলেছে। আর বাড়ছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান। আর এ জীবনযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সহজ করে চলেছে ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য। অতীতে মানুষ প্রতিদিনের বাজার প্রতিদিন এনে রান্না করে খেত। আবার কেনা পণ্যের অনেকটা অংশ নষ্টও হয়ে যেত বিরূপ আবহাওয়ার কারণে। কিন্তু বর্তমানে রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের ফলে মাসিক বাজার একসঙ্গে করে রাখা যায়। এর ফলে সময় বাঁচে এবং পচনও রোধ হয়। বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশব্যাপী বিদ্যুতায়নের ফলে শহর-গ্রাম সব স্থানেই ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যের ব্যবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

লাকড়ি চুলার ব্যবহার হয়তো খুব কম সময়ের মধ্যে শূন্যে নেমে আসবে। কেননা এখন ইন্ডাকশন কুকার, ইলেকট্রিক চুলা, রাইস কুকার, ইলেকট্রিক কেটলি, ওভেনের ব্যবহার বহুলাংশে বেড়েছে যা সময় ও জ্বালানি উভয়ের অপচয়ই রোধ করেছে। কাপড় ধোয়ার কাজ সহজ করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ওয়াশিং মেশিন। বর্তমান সময়ে ব্লেন্ডার ও গ্রাইন্ডার মানুষের জীবন করেছে আরও সহজ। তা ছাড়া শহর ও গ্রামের মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে টেলিভিশন। এখন শুধু সাদা-কালো কিংবা রঙিন টেলিভিশনেই সীমাবদ্ধ নয়; প্রযুক্তির উৎকর্ষে বাজারে এসেছে এখন স্মার্ট এলইডি ইন্টারনেট টেলিভিশন, যার মাধ্যমে বিশ্বকে নিয়ে এসেছে এক ছাদের নিচে; যা কিছুদিন আগেও ছিল মানুষের কল্পনার বাইরে। বৈশ্বিক আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এ দাবদাহ থেকে রক্ষা এবং মানুষের জীবনে একটু শান্তি দেওয়ার জন্য হুহু করে বেড়ে চলেছে এয়ারকন্ডিশনারের ব্যবহার। শুধু এসি নয়, বর্তমান সময়ে ফ্যান ব্যবহার হয় না এমন একটি ঘরও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। মূলকথা, ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য মানুষের জীবন করে তুলেছে অধিক স্বাচ্ছন্দ্যময়, আরামদায়ক এবং গতিশীল।

এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুনিয়া এগিয়ে চলেছে। তার বাড়ছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান। আর এ জীবনযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সহজ করে চলেছে ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য। অতীতে মানুষ প্রতিদিনের বাজার প্রতিদিন এনে রান্না করে খেত। আবার কেনা পণ্যের অনেকটা অংশ নষ্টও হয়ে যেত বিরূপ আবহাওয়ার কারণে।

ঈদুল ফিতরে অফার ও মাইওয়ান গ্রুপের নতুন নতুন পণ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যের বাজার। তাই রোজা ও ঈদ উপলক্ষে মিনিস্টার গ্রুপ বাজারে নিয়ে এসেছে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের শতাধিক মডেল। ঈদ ঘিরে নতুন নতুন গৃহস্থালি সামগ্রী দিয়ে ঘর সাজাতে গ্রাহকরা ভিড় করছেন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের শোরুমগুলোয়। সব মিলিয়ে বিক্রিও হচ্ছে আশাতীত।

তাঁর মতে, বর্তমান সময়ে আমরা দেশের প্রতিটি প্রান্তে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের পণ্য নিজস্ব শোরুম এবং ডিলার চ্যানেলের মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছি এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে আমাদের মার্কেট শেয়ার প্রতিদিনই বাড়ছে। বর্তমানে আমাদের গ্রুপের পণ্যের মার্কেট শেয়ার প্রায় ২০ শতাংশ। অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, ব্যবসার উন্নয়ন, উদ্যোক্তা তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ।

তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষ্য এবার বিশ্ব জয়’ এ স্লোগান পাথেয় করে বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা এবং বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে মেড ইন বাংলাদেশ পৌঁছে দেওয়াই আমাদের কোম্পানির মূল্য লক্ষ্য। তবে এ খাতের উন্নয়নে জন্য হোম অ্যাপ্লায়েন্স শিল্পে কর অবকাশ সুবিধা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এ ছাড়া শুল্ককর ও অন্যান্য বিষয় আরও সহজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর