মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও ভবিষ্যৎ ভিত গড়ে তুলতে পথ দেখাতে পারে

শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও ভবিষ্যৎ ভিত গড়ে তুলতে পথ দেখাতে পারে

 ছবি : ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

উচ্চশিক্ষার বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার নানা বিষয় নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী মুখোমুখি হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : গুণগত উচ্চশিক্ষা প্রদানে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে?

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মটো বা দর্শন হচ্ছে - ‘‘Utilitarian and Quality Education for Economic Emancipation”. অর্থাৎ আমাদের এখান থেকে ডিগ্রি নেওয়ার পর কেউ যেন বেকার বসে না থাকে, তার ব্যবস্থা আমরা করতে চাই। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকাল থেকে উৎপাদনমুখী বা বাস্তবসম্মত শিক্ষাকে মানসম্মত উপায়ে প্রদানে নিবেদিত। আমাদের সিলেবাসগুলো প্রায়োগিক ও বাস্তববাদী।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ পালনে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হচ্ছে তার নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস। মানসম্মত শিক্ষাদানের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুবিধা থাকা বাঞ্ছনীয়। সেই লক্ষ্যে অবকাঠামোগত চাহিদা পূরণের জন্য নিজস্ব জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ২০১৮ সাল থেকে পাঠদানসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। ঢাকার উত্তরায় ১৭ নম্বর সেক্টরে লেকের পাড়ে নিজস্ব জমিতে আধুনিক স্থাপত্যবিন্যাসে নির্মিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর সুবিশাল স্থায়ী ক্যাম্পাস এক সবুজ স্নিগ্ধ পরিবেশে ঘেরা। আইনের সব শর্ত পালনের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্থায়ী সনদ প্রদান করেছে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : চাকরির বাজারে কেমন করছে আপনাদের গ্র্যাজুয়েটরা?

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বহুজাতিক কোম্পানিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করছেন। পাশাপাশি অনেকে নিজে উদ্যোক্তা হয়েছেন এবং বহু বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তথা দেশ ও জাতীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখছেন। আমাদের প্রায় ২০ হাজার উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মধ্যে বেকার নেই বললেই চলে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আর্থিক অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছেন?

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মেধা লালন। তাই মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা বৃত্তি, স্টাইপেন্ড, ফি ওয়েভার, এমনকি খন্ডকালীন কাজের সুবিধা সৃষ্টি করে দিই। এমনিতে আমাদের ফির হার সারা দেশে সর্বনিম্ন। তারপর বিভিন্ন বৃত্তি বাদ দিলে শিক্ষার্থীরা নামমাত্র ফি দিয়ে এখানে পড়াশোনা করে। নামমাত্র ফি নিলেও শিক্ষার মান উন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছি আমরা। শতকরা প্রায় ২৭.৫৭ ভাগের অধিক ছাত্রছাত্রীকে এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ার সুযোগসহ প্রায় ৮০-৯০ ভাগ ছাত্রছাত্রীকে কমপক্ষে ২০ ভাগ ও সর্বোচ্চ ৯০ ভাগ ফি মওকুফ দেওয়া হয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আগ্রহী ভর্তিচ্ছুদের সম্পর্কে কিছু বলুন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, এমন গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা যারা তাদের মস্তিষ্ককে ক্ষুদ্রতম গবেষণাগার হিসেবে গড়ে তুলে অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সামাজিক কল্যাণে বিশাল অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য আমরা একটি মানসম্পন্ন এবং স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির সিলেবাস বিশ্বজনীন, কোর্স কারিকুলাম সময়োপযোগী, শিক্ষক মানসম্পন্ন এবং শিক্ষকরা যাতে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারে সে জন্য আমরা একটা নীতিমালা ও কাঠামোগত বিন্যাস করে নিয়েছি। ভর্তিচ্ছুদের বলব এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিতে, যেখানে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও ভবিষ্যৎ ভিত গড়ে তুলতে পথ দেখাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর