বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

সিটিটাচ ব্যবহার করেন ৫ লাখ গ্রাহক

মানুষের জীবন সহজ করেছে ডিজিটাল অ্যাপ। ব্যাংকে না গিয়েও কীভাবে ঘরে বসে টাকা স্থানান্তর করা যায় তার সহজ সমাধান এনেছে সিটিটাচ। একশ্রেণির গ্রাহকের কাছে অ্যাপভিত্তিক লেনদেনই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে...

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিটিটাচ ব্যবহার করেন ৫ লাখ গ্রাহক

আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যাংকিং করতে হতো। এখন ব্যাংকের শাখায় গিয়ে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থেকে বেরিয়ে আসছেন গ্রাহক। ঘরে বসে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে ব্যাংকিংয়ের সবই হচ্ছে। মানুষের জীবন সহজ করেছে ডিজিটাল অ্যাপ। ব্যাংকে না গিয়েও কীভাবে ঘরে বসে টাকা স্থানান্তর করা যায় তার সহজ সমাধান এনেছে সিটিটাচ। একশ্রেণির গ্রাহকের কাছে অ্যাপভিত্তিক লেনদেনই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মানুষের আগ্রহ বিবেচনায় সরকারি-বেসরকারি খাতের বেশির ভাগ ব্যাংক এখন অ্যাপভিত্তিক লেনদেন সুবিধা চালু করেছে। ২০১৩ সালে বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ‘সিটিটাচ’ চালু করে এখন ৫ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। সিটি ব্যাংক সূত্র জানান, তাঁদের ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রাহক এবং ছোট ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন। বর্তমানে সিটিটাচের মাধ্যমে দৈনিক ২০০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। এ অ্যাপ দিয়ে গ্রাহক প্রতিদিন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারেন। গ্রাহক যে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফার, মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস ওয়ালেটে ফান্ড ট্রান্সফার, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, বাংলা কিউআর মার্চেন্ট পেমেন্ট, কার্ড ছাড়াই এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার মতো অনেক লেনদেন সম্পর্কিত সেবা পাচ্ছেন। এ ছাড়া সিটিটাচের মাধ্যমে অনেক অ্যাকাউন্ট এবং কার্ড সম্পর্কিত পরিষেবা যুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফিক্সড ডিপোজিট রসিদ (এফডিআর) এবং ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস) খোলা, চেকবইয়ের আবেদন, চেক পেমেন্ট বন্ধ করা, কার্ড অ্যাকটিভ করা, কার্ড পিন রিসেট, যোগাযোগের তথ্য পরিবর্তন এবং আরও অনেক কিছু। সিটিটাচের মাধ্যমে দৈনিক ৬০ হাজারটির বেশি লেনদেন হয়। এখন পর্যন্ত সিটিটাচের মাধ্যমে ৬০ হাজার ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস) এবং ২১ হাজার ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) খোলা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ব্যাংকের প্রচুর কাগজপত্রও সংরক্ষণ করতে হতো। ব্যাংকে না এসে সিটিটাচের মাধ্যমে ডিপিএস ও এফডিআর খোলায় কাগজের ব্যবহার কমে পরিবেশ রক্ষায় সহায়তা করছেন গ্রাহক। সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সিটিটাচ অ্যাপটি ২০১৩ সালে চালু করা হয়েছে। চালুর পর থেকে গ্রাহকদের ওয়ান স্টপ ডিজিটাল ব্যাংকিং সমাধান দিতে সিটিটাচ আরও বেশিসংখ্যক ব্যাংকিং ফিচার ও প্রডাক্ট যুক্ত করার চেষ্টা করেছে। সিটিটাচ ঘরে বসেই ব্যাংকিং করার সুবিধা দেয়। এটি গ্রাহকদের যানজট পরিস্থিতি এড়াতে সহায়তা করে এবং তাদের সময় ও খরচ বাঁচায়। এ বিষয়ে সিটি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব সিটিটাচ সৈয়দ ইব্রাহিম সাজিদ বলেন, ‘আমরা সিটিটাচ অ্যাপটিকে দেশের সবচেয়ে পছন্দনীয়         ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রদানকারী মাধ্যমে পরিণত করতে চাই, যা হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ও নিত্যনতুন উদ্ভাবনী চিন্তার ধারক।

সর্বশেষ খবর