বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সা ক্ষাৎ কা র

‘এসআইবিএল নাউ’ অ্যাপে সব ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহক

‘এসআইবিএল নাউ’ অ্যাপে সব ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহক

জাফর আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড

‘এসআইবিএল নাউ’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহক ডিজিটাল ট্রানজেকশনের সুবিধা নিচ্ছেন। এসব অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে প্রায় দেড় লক্ষাধিক ট্রানজেকশন হচ্ছে। এছাড়াও ই-অ্যাকাউন্ট সেবার আওতায় প্রায় দশ হাজার গ্রাহক ঘরে বসেই ব্যাংকিং লেনদেন করছেন...       

 

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এমডি ও সিইও জাফর আলম বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আমাদের দেশে ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে দেশে মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়েছে, যেখানে দৈনিক মোট লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ৪৮ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে যুক্ত আছে। যদিও এ সংখ্যা খুবই কম। তবে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। উল্লেখযোগ্য হারে নতুন গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। প্রতি বছর ১০ লাখের অধিক নতুন গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে যুক্ত হচ্ছেন। দেশে প্রায় ৩ কোটি ডেবিট কার্ড ও ২৫ লাখ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী আছেন। এসবের সঙ্গে এটিএম, পস, সিআরএম, সিডিএম, আরটিজিএস, ইফটিএন ইত্যাদির ব্যবহার ক্যাশলেস লেনদেনকে উৎসাহিত করছে বলে আমি মনে করি। এর পাশাপাশি কিউআর কোড ডিজিটাল লেনদেনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। আসলে প্রযুক্তিকে আমাদের ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। কাজেই ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ার পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল অ্যাপের সুবিধা যুগোপযোগী করা হয়েছে এবং এসব সেবার পরিধিও বাড়ানো হয়েছে। করোনাকালে মানুষ ঘর থেকে বের হতো না। গ্রাহকরা যাতে ঘরে বসে হিসাব খুলতে পারেন সেজন্য চালু হয়েছে ই-অ্যাকাউন্ট সেবা; যার মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি এখন ঘরে বসেই মোবাইলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন, এর জন্য গ্রাহককে ব্যাংকের শাখায় আসার প্রয়োজন নেই। ‘এসআইবিএল নাউ’ অ্যাপের মাধ্যমে লক্ষাধিক গ্রাহক ডিজিটাল ট্রানজেকশনের সুবিধা নিচ্ছেন। এসব অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে দেড় লক্ষাধিক ট্রানজেকশন হচ্ছে। এ ছাড়া ই-অ্যাকাউন্ট সেবার আওতায় প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক ঘরে বসেই ব্যাংকিং লেনদেন করছেন।

জাফর আলম বলেন, এ কথা সত্যি, এখনো আমরা নগদ লেনদেন বেশি করছি। অথচ অনেক দেশে ক্যাশ লেনদেন প্রায় বন্ধ হয়ে আসছে। তবে যত দ্রুত আমরা প্রযুক্তিনির্ভর লেনদেনে এগিয়ে যাব তত বেশি নগদ লেনদেনের পরিমাণ কমে যাবে। আমাদের দেশে বিশাল জনগোষ্ঠীকে রাস্তাঘাটে, আনাচে কানাচে প্রতিদিন খুচরা কেনাকাটা থেকে শুরু করে পরিবহন খরচ মেটাতে নগদ দেনদেনের ওপর নির্ভর করতে হয়। এ কারণে বিশ্বের কিছু দেশ ক্যাশলেস লেনদেনে অগ্রগতি অর্জন করলেও বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে আছে। তবে আমাদের দেশেও কেনাকাটায় ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বাড়ছে। কিউআর কোডের মাধ্যমেও কেনাকাটায় পেমেন্ট হচ্ছে, মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে পেমেন্ট বাড়ছে। আমরা চেক বা কার্ড ছাড়াই যে কোনো শাখা থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য ‘কিউআর কোড’-এর প্রবর্তন করেছি; যা ইতোমধ্যে গ্রাহকের মাঝে বেশ সাড়া জাগিয়েছে।

সর্বশেষ খবর