সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্মার্ট দেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে

মো. জসিম উদ্দিন, সভাপতি, এফবিসিসিআই

স্মার্ট দেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে

দেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সব ব্যবসায়ী জাতীয় পতাকা নেড়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবারও পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। সে সময় ব্যবসায়ীরা সমস্বরে বলতে থাকেন শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জসিম উদ্দিন বলেন, আপনি যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেই অবস্থা ধরে রাখার জন্য, বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ যেসব সমস্যা রয়েছে ব্যবসায়ীদের সামনে সেগুলো আপনার মাধ্যমে সমাধান চাই। এজন্য আমরা সব ব্যবসায়ী ঐকমত্যে পৌঁছেছি, আপনাকে আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে ব্যবসায়ীদের জন্য।

তিনি বলেন, যখনই এফবিসিসিআই থেকে আহ্বান করা হয়েছে তখনই আপনি সাড়া দিয়েছেন। এজন্য আমরা গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এফবিসিসিআই নিরলসভাবে কাজ করবে। এতে এফবিসিসিআইয়ের স্লোগান হবে- ‘স্মার্ট এফবিসিসিআই ফর স্মার্ট অর্থনীতি’।

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে বাড়ানোর জন্য ট্যাক্স বার্ডেন কমিয়ে ট্যাক্স নেট বাড়াতে হবে। এজন্য ব্যবসাবান্ধব করব্যবস্থা বাস্তবায়নে এনবিআরের অতিরিক্ত ক্ষমতা কমিয়ে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এনবিআর কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে স্মার্টভাবে ট্যাক্স কালেকশন অনেক বেশি কার্যকর হবে।  তিনি বলেন, সম্প্রতি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ডলার সংকটে বিপর্যস্ত ও বন্ধ শিল্পকারখানার পুনর্বাসনে বা এক্সিট কার্যক্রমের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারের বিশেষ তহবিল গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শিল্পের উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিতকরণে অবশ্যই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ, লজিস্টিক সাপোর্ট এবং পোর্টের কার্যক্রম আরও আধুনিকায়ন ও স্মার্ট করতে হবে। জসিম উদ্দিন বলেন, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে স্মার্টলি পরিচালনার জন্য জাপানের জেট্রো, কোরিয়ার কোটরা, চায়নার সিসিপিআইটি এবং সম্প্রতি ভিয়েতনাম প্রণীত ভিয়েত ট্রেড সেন্টারের মতো বাংলাদেশেও একক পেশাজীবীভিত্তিক বিনিয়োগ -বাণিজ্য সংস্থা স্থাপন এখন সময়ের দাবি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক দেশগুলোর প্রতিটির জন্য একজন করে ব্যবসায়ীকে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে ওই সংস্থায় নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, শিল্পের উৎপাদন খরচ কমাতে কম মূল্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এ খাতে আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে। নিজস্ব রিসোর্স থেকে অর্থাৎ অভ্যন্তরীণভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন, সমুদ্র সীমানায় সম্ভাব্য গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন, সোলারসহ অন্যান্য নবায়নযোগ্য উৎসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং নিজস্ব উৎস থেকে কয়লা উত্তোলন করতে হবে। বিদ্যমান কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো সচল রাখার পাশাপাশি অসমাপ্ত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।

জসিম উদ্দিন বলেন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির অন্যতম খাত এসএমইয়ের ঋণপ্রবাহে সুদের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকা প্রয়োজন। বিদেশি প্রকল্পে দেশি কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে ডলারের ব্যয় কমানো যেতে পারে।  বন্দরের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও অটোমেশন করা, লজিস্টিক সেক্টরের উন্নয়নে গৃহীত উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার। বাংলাদেশি পণ্যের বিশ্ববাজারে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য বিএসটিআইকে সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর