বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অল্প খরচে হৃদরোগ চিকিৎসা দেওয়াই মূল লক্ষ্য

মো. শাহ জহিরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক

অল্প খরচে হৃদরোগ চিকিৎসা দেওয়াই মূল লক্ষ্য

লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ জহিরুল ইসলাম বলেন, ২০০৫ সালে রাজধানীর উত্তরায় লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়। বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে গিয়ে রোগীরা নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়েন। আমাদের লক্ষ্য ছিল রোগীসেবা নিশ্চিত করে কমিশনমুক্ত হাসপাতাল গড়ব। অল্প খরচে হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়াই মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন, এ হাসপাতালে রোগী এলে বিনা কারণে অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিংবা অন্য কোনো হয়রানি করা হয় না। যাত্রাকাল থেকেই বিষয়টি নিয়ে আমরা সচেতন। মূলত উত্তরায় অত্যাধুনিক এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ঢাকা শহরের যাতায়াত ব্যবস্থা। একটা হার্ট অ্যাটাক হওয়া রোগী উত্তরা থেকে মিরপুর কিংবা অন্য কোনো জায়গায় যেতে যানজটের মতো নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিষয়টি বিবেচনা করে মূলত লুবানা হাসপাতালে হার্টের বাইপাস সার্জারিসহ বিভিন্ন রোগের আধুনিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু হয়। যাত্রাকালে নানা সংকট থাকলেও বর্তমানে এ হাসপাতাল মানুষের আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে। ফলে এ হাসপাতালে প্রতিদিন হার্টের সার্জারিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম চলছে। মানুষের মধ্যে এ আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে কারণ হাসপাতালে কোনো রোগী এলে আমরা বিনা প্রয়োজনে কোনো অপারেশন, টেস্ট কিংবা ভর্তি রাখি না। একটা রোগী ভর্তি হওয়া থেকে চলে যাওয়া পর্যন্ত তাদের সন্তুষ্ট রাখতে আমরা কাজ করি। ফলে কোনো মার্কেটিং ছাড়াই কেবল রোগী ও শুভাকাক্সক্ষীদের মাধ্যমে দেশে স্বাস্থ্যসেবায় আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে এ হাসপাতাল।

রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় এ হাসপাতাল তা কীভাবে মোকাবিলা করছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. শাহ জহিরুল ইসলাম বলেন, মহানগরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এ হাসপাতালেও বহু রোগী আসছে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আমরা অনেক রোগী ভর্তি নিতে পারছি না।

সিটি করপোরেশন ও সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে সেগুলো আরও কার্যকরীভাবে নেওয়া এবং জনগণের সচেতনতায় এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে ৫০০ জন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারী সেবায় নিয়োজিত আছেন। তারা সার্বক্ষণিক রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন। চিকিৎসা ব্যয় অন্যান্য হাসপাতালের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার পাশাপাশি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার কথা চিন্তা করি আমরা। তবে যেহেতু এটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেহেতু সার্বিক দিক বিবেচনা করতে হয়। আগের তুলনায় বর্তমানে হৃদরোগী অনেক বেশি আসছে। এর মুখ্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে সামাজিক অস্থিরতা ও খাদ্যাভ্যাস। কারণ বাজারে সব খাদ্যেই ভেজাল। হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসা ব্যয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে একটি রোগীর বাইপাস সার্জারি খরচ সব মিলিয়ে আড়াই লাখ টাকা লাগে।

এ ছাড়া এনজিওগ্রাম একটি প্যাকেজের মধ্যে করা হয়। এটার ব্যয় ১৭ হাজার টাকা। মূলত যে লক্ষ্যে এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা বাস্তবায়ন করে বহুদূর এগিয়ে যেতে চাই।

সর্বশেষ খবর