উচ্চশিক্ষা স্তরে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯২ সালে আইন জারির পর এ দেশে যাত্রা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের। দেশে দ্রুত বিকাশমান খাতগুলোর মধ্যে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। তাই শিক্ষার্থীদের আগ্রহেও এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের অবতীর্ণ হতে হয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়। শুরুর পর মাত্র ৩২ বছরের ব্যবধানে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন ১১৬। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পড়ালেখা করছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ছাত্রছাত্রী। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্রছাত্রী আসছেন এ দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিতে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে আধুনিক সব বিষয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তুচ্ছ কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে গেলেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নজির নেই, নেই রাজনৈতিক দলাদলি আর অস্থিরতা। এ ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজটের কোনো ঝামেলাও পোহাতে হয় না ছাত্রছাত্রীদের। সব মিলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহে পরিণত হয়েছে।
দেশে উচ্চশিক্ষার বিস্তারে বড় ভূমিকা পালন করে আসছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) থেকে শুরু করে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে আকর্ষণীয় চাকরিতে নিজেদের স্থান করে নিচ্ছেন গ্র্যাজুয়েটরা। প্রকৌশল আর প্রযুক্তিতে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেশ সুনাম কুড়িয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনদিন বেড়েই চলেছে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্যমতে গত ১০ বছরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০ (৯.৯৯) শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৮ জন ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে ছাত্রী ১ লাখ ৫৮৫ জন। সর্বোচ্চ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রয়েছেন ২২ হাজার ৭৫৪ জন। দ্বিতীয় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ হাজার ৬০৭ জন, তৃতীয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার ৩৭৫ জন, চতুর্থ ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৩৯১ জন পড়াশোনা করছেন।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে একাডেমিক চালুকৃত ১০০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিতে ১ হাজার ৬৯৮, কলা ও মানবিকে ৩৭ হাজার ৭৭৩, জীববিজ্ঞানে ৪ হাজার ৭৭১, ব্যবসায় শিক্ষায় ৭৫ হাজার ৫৮, ফার্মেসিতে ১০ হাজার ৯৮৯, বিজ্ঞানে ৬ হাজার ৮২৩ জন, সামাজিক বিজ্ঞানে ১১ হাজার ৯০০, টেক্সটাইল ও ফ্যাশনে ১০ হাজার ৪৭৬, ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সে ২৯৭ জন ছাড়াও অন্যান্য বিভাগে ৩ হাজার ৭৪০ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা করছেন ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ। এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক রয়েছেন ১৬ হাজার ৫০৮ জন। এর মধ্যে পূর্ণকালীন ১২ হাজার ১৩ ও খণ্ডকালীন ৪ হাজার ৫ জন। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষিকা রয়েছেন ৫ হাজার ১৬৭ জন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক রয়েছেন ৩ হাজার ৫১০ জন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খোলা হয়েছে আধুনিক যুগের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ও শিক্ষার্থীদের চাহিদামাফিক নানা বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, পাবলিক হেলথ, ফার্মেসি, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার, প্রোডাক্ট ডিজাইন, মিউজিক, গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পলিটিকস, মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ, অ্যাকাউন্টিং, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, আইন ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এসব বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়ে গ্র্যাজুয়েটরা পেশাজীবনেও বেশ কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বিদ্যমান ৮৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে অর্থ ব্যয় করেছে। এ খাতে মোট ব্যয় ছিল ১৩৯ কোটি ৩১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। গড় হিসাবে এর পরিমাণ ১ কোটি ৬৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিকাশের সূত্র ধরে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের বিদেশে যাওয়ার হার কমে আসছে। এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। দুই দশক আগেও দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসনস্বল্পতার কারণে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী লাখ লাখ টাকা খরচ করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদেশে পাড়ি দিতেন। বর্তমানে শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ৪ লাখ ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে। ফলে দেশের এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশের তুলনায় কম খরচে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারছেন ছাত্রছাত্রীরা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীরাও বিদেশের পরিবর্তে দেশের মাটিতেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। উচ্চশিক্ষায় দেশের প্রায় ৪ লাখ শিক্ষার্থী বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত রয়েছেন।
তথ্যমতে জনসংখ্যা অনুপাতে দেশে উচ্চশিক্ষার চাহিদার তুলনায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অপর্যাপ্ত। সীমিত আসনসংখ্যা ও জাতীয় শিক্ষা বাজেটে উচ্চশিক্ষা খাতে বরাদ্দ ঘাটতি থাকার কারণে উচ্চশিক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন জারির পর একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় বেসরকারি উদ্যোগে। উচ্চশিক্ষা, গবেষণাসংক্রান্ত সুযোগসুবিধা গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০’ পাস হওয়ার পর ২০১২ সালে ১৬টি, ২০১৩ সালে ১০টি, ২০১৪ সালে ২টি, ২০১৫ সালে ৯টি, ২০১৬ সালে ৫টি, ২০১৮ সালে ৭টি এবং ২০১৯ সালে ২টি, ২০২০ সালে ৩টি, ২০২১ সালে ১টি ও ২০২২ সালে ১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বর্তমানে দেশে মোট ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক আধুনিকায়ন হয়েছে। ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে উচ্চশিক্ষার কোর্স-কারিকুলাম, সিলেবাস ইত্যাদি দেখে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। অনলাইনের মাধ্যমেও শিক্ষা নিচ্ছেন তারা। ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ হাজার ২৮৭ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছেন। বর্তমানে ৩৭ দেশের শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, রুয়ান্ডা, ইউনাইটেড আরব আমিরাত, ফিলিপাইন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, জাপান, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, গাম্বিয়া, মরক্কো, সাউথ কোরিয়া, মৌরিতানিয়া, তানজানিয়া, অস্ট্রিয়া, জিবুতি, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, বাহরাইন ইত্যাদি। বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এ দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে আসায় বহির্বিশ্বে একদিকে যেমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে, অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে শিক্ষার গুণগতমান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য ছাত্রছাত্রী বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন। বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৪ হাজার ৬১০ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ১৮ হাজার ৯৭ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী বিনা বেতনে পড়াশোনা করছেন। স্কলারশিপে অধ্যয়ন করছেন ৫ হাজার ৬৯৩ জন। এ ছাড়া ওয়েভারপ্রাপ্ত রয়েছেন ৪৭ হাজার ৯৩৮ জন ছাত্রছাত্রী। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে নির্দিষ্টসংখ্যক আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সিংহভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীর পাঠদান, জ্ঞান বিতরণ তুলনামূলক সহজতর হচ্ছে উচ্চশিক্ষার এসব বিদ্যাপীঠে। ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী একাডেমিক কার্যক্রম চালুকৃত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ছিল ১:২১, যা সন্তোষজনক।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাডেমিক কার্যক্রম, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে রয়েছে বিভিন্ন কমিটি। এসব কমিটির মধ্যে অন্যতম বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট ও অর্থ কমিটি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান সমস্যা দূর করতে বছরে অন্তত একবার সভার আয়োজন করবে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়ন, হিসাবনিকাশ অনুমোদন, বাজেট অনুমোদনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের।
ইউজিসি চেয়ারম্যান যা বললেন : বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দেশের বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃপক্ষ সমাজ, দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করছেন। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান দিনদিন বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়েও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান করে নিচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের প্রত্যাশার কমতি নেই। আশা করছি সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের নিয়ম মেনে তাদের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশ ও জাতির জন্য আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করি আমি।’
উচ্চশিক্ষায় পথপ্রদর্শক ইউল্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। উদ্ভাবনী শিক্ষা মডেল, গবেষণাভিত্তিক কাঠামো এবং শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক পরিবেশের মাধ্যমে ইউল্যাব মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ইউল্যাব ‘লিবারেল আর্টস’ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণ করে, যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রধান বিষয়ের পাশাপাশি একটি অতিরিক্ত বিষয়েও (মাইনর) অধ্যয়ন করতে পারেন। এতে তারা বিশ্লেষণী চিন্তা, সৃজনশীলতা ও বহুমুখী দক্ষতা অর্জন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টি কেবল বইয়ের পড়াশোনায় সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পায় অত্যাধুনিক গবেষণাগারে। এখানে রয়েছে মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস (IoT), কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং, মিডিয়া ও টেলিকমিউনিকেশন ল্যাব, যা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে রাখে।
ইউল্যাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হলো এর ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (IQAC), যা শিক্ষাদান, মূল্যায়ন এবং পাঠ্যক্রমকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও দেশীয় প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। উচ্চমান বজায় রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ইউল্যাব গর্বের সঙ্গে ISO 9001:2015 সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে, যা এর নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন এবং মান ব্যবস্থাপনার প্রতি প্রতিশ্রুতিকে প্রমাণ করে।
এ ছাড়া, ইউল্যাব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ র্যাংকিংয়ে স্থান করে নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে QS World University Rankings, THE Impact Rankings, Ges WURI (Worlds Universities with Real Impact). উল্লেখযোগ্য একটি দিক হলো, প্রতিষ্ঠানটি এমন একটি স্বচ্ছ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তুলেছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সঙ্গে সহজে ও মুক্তভাবে যোগাযোগ করতে পারে। সরাসরি ইমেইলের মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ প্রশাসনের কাছে তাদের মতামত বা সমস্যার কথা নির্ভয়ে জানাতে পারে, যা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং অংশগ্রহণমূলক মনোভাব বিকাশে সহায়ক হয়। আন্তর্জাতিক সংযোগের ক্ষেত্রে ইউল্যাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথসহ একাধিক বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাডেমিক অংশীদারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার বৈশ্বিক সুযোগ তৈরি হয়েছে। ক্যারিয়ার প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও ইউল্যাবের ভূমিকা প্রশংসনীয়। এখানে রয়েছে আলাদা ক্যারিয়ার সার্ভিস বিভাগ, যা শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ও চাকরি খোঁজায় সহায়তা করে। পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণাকেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সামাজিক উন্নয়ন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও পরিবেশ-সচেতন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে। সার্বিকভাবে, ইউল্যাব প্রমাণ করেছে যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানসম্মত উচ্চশিক্ষার শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ইউল্যাব দেশের বেসরকারি উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় উদ্ভাবনীতা, আন্তর্জাতিক মান এবং শিক্ষার্থীবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গির একটি মডেল হিসেবে আরও সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করবে।
আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি
উচ্চশিক্ষার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়ে একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে সীমিত সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে বর্তমানে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত এবং প্রায় ৪০০ শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এখানে নিয়োজিত রয়েছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপদ ভবিষ্যৎ, আধুনিক ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উত্তরা ১৭/এইচ সেক্টরে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে অবস্থিত এ বিশ^বিদ্যালয়। ২০১৮ সাল থেকে এই ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হলেও, ২০২২ সাল নাগাদ সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংযোজনের মাধ্যমে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ স্থায়ী ক্যাম্পাসে রূপান্তরিত হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর সব শর্ত পূরণ করে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে স্থায়ী সনদ প্রদান করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব, উন্নত প্রযুক্তি সুবিধা এবং শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ। প্রতিটি বিভাগে প্রয়োজনীয় গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে এবং শিক্ষাক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী। বর্তমান বাজারব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান চাহিদার ভিত্তিতে নতুন ও যুগোপযোগী কোর্স চালু করা হয়েছে এ বিশ^বিদ্যালয়ে, ফলে শিক্ষার্থীদের আগ্রহে পরিণত হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের পাশাপাশি নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে মানব সমাজকে সমৃদ্ধ করা। শুরু থেকেই আমরা কেবলমাত্র পাঠদানে সীমাবদ্ধ না থেকে গবেষণাকর্মে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রেও গবেষণার মান ও পরিমাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এখানে। গবেষণা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ কেবল পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক শিক্ষায় সীমাবদ্ধ না থেকে, শিক্ষার্থীদের মননশীল, সৃজনশীল ও সমাজসচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে নানাবিধ সহশিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিত আয়োজন করে আসছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশ, নেতৃত্বগুণ, দলবদ্ধ কাজের অভ্যাস এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমরাই এ দেশে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য বিএসসি প্রোগ্রাম প্রথম চালু করেছি। মেকাট্রনিক্স নামের ব্যাপক চাহিদাসমৃদ্ধ কোর্সটি প্রবর্তনেও আমরা পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছি। ডিপ্লোমা পর্যায়ে মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, পাওয়ার, রেফ্রিজারেশন, কেমিক্যাল, সিএসই, অটোমোবাইল, ইলেকট্রোমেডিকেল বা মেরিন ডিজেল ইঞ্জিন ট্রেড হতে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণরা মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবে। বহুমাত্রিক বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সমাজের বিভিন্ন স্তরের জন্য দক্ষ পেশাজীবী তৈরি করছে।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শুরু থেকেই জীবনঘনিষ্ঠ, মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি এমন গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে যারা শুধু চাকরির বাজারে নয়, বরং নেতৃত্ব, উদ্ভাবন এবং সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এ বিশ^বিদ্যালয়ে অত্যন্ত সহনীয় টিউশন ফি নেওয়া হয়। ২০% থেকে ১০০% পর্যন্ত স্কলারশিপ ও মেধাবৃত্তি রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। এ ছাড়া দরিদ্র ও মফস্বলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষায় বৈষম্যহীনতা রোধে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি।
কম খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ’ সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’ অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৩ জুন প্রতিষ্ঠা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদের অধীনে মোট ছয়টি বিভাগ চালু রয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) ও মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ)। ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (এএমএম)।
আর ফ্যাকাল্টি অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর অধীনে বিএ (অনার্স) ইন ইংলিশ, এমএ ইন ইংলিশ লিটেরেচার অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ ও ব্যাচেলর অব ল (এলএলবি অনার্স)। একই অনুষদের অধীনে কোর্স অন প্রি-ইউনিভার্সিটি ইংলিশ পরিচালিত হয়। আইএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন ও ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আতিকুর রহমান, ‘স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ’-এর এই দুই কর্ণধার, কম খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ছাড়াও যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির সুযোগ দিতে প্রস্তুত কর্তৃপক্ষ। ৬৯ মহাখালীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিশাল ভবনে পরিচালিত হয় ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ)।
আইএসইউর উপাচার্য বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আবদুল আউয়াল খান বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দেশের অন্যতম সুপ্রতিষ্ঠিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ ছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে উন্নয়ন কাজে পরিপূর্ণ সহায়তা করছেন উদ্যোক্তারা। মেধা, যোগ্যতা ও অধিকারের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১৪টি বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ ও টিউশন ফি ওয়েভারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার গুণগত মানের ক্ষেত্রে কোনোরূপ ছাড় না দেওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তথ্যমতে, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে আকর্ষণীয় স্কলারশিপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে পূর্ণ অনুদান (১০০%) থেকে শুরু করে আংশিক মওকুফসহ শিক্ষার্থীদের মোট ১৪টি ক্যাটাগরিতে স্কলারশিপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার প্রদান করা হয়।
আইএসইউর উপাচার্য বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আবদুল আউয়াল খান বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দেশের অন্যতম সুপ্রতিষ্ঠিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ ছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে উন্নয়ন কাজে পরিপূর্ণ সহায়তা করছেন উদ্যোক্তারা। মেধা, যোগ্যতা ও অধিকারের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১৪টি বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ ও টিউশন ফি ওয়েভারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার গুণগত মানের ক্ষেত্রে কোনোরূপ ছাড় না দেওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তথ্যমতে, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে আকর্ষণীয় স্কলারশিপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে পূর্ণ অনুদান (১০০%) থেকে শুরু করে আংশিক মওকুফসহ শিক্ষার্থীদের মোট ১৪টি ক্যাটাগরিতে স্কলারশিপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার প্রদান করা হয়।
গবেষণা ও আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি

আন্তর্জাতিক মানের জ্ঞান ও দক্ষতায় তরুণ-তরুণীদের গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী, নেতৃত্বগুণে গুণান্বিত ও সমাজের জন্য দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রতি আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। কারিকুলামে আউটকাম বেজ্ড এডুকেশন পদ্ধতি অনুসরণ করছি, যা তাদের বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্লাব, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, শিল্পকারখানা পরিদর্শন এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্বদরবারে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারছেন।
প্রফেসর ড. এম. আজিজুর রহমান ও প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা-এর নেতৃত্বে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় উত্তরা ইউনিভার্সিটি। এ ইউনিভার্সিটিকে আন্তর্জাতিক মানদ-ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে র্যাংকিং বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। পাশাপাশি Excellence in Higher Education and Research এ মিশন সামনে রেখে গবেষণায় বেশি জোর দিচ্ছি।
এ ইউনিভার্সিটির একাডেমিক কার্যক্রম অত্যন্ত গতিশীল এবং যুগোপযোগী। বিভিন্ন অনুষদে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হচ্ছে। পাঁচ অনুষদের অধীনে রয়েছে ১৪ বিভাগ। যেখানে ৪০টি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। পাঠদান, মূল্যায়ন ও গবেষণার প্রতিটি ধাপে আমরা গুণগত মান নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। এ ইউনিভার্সিটিতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে অত্যাধুনিক বিশ্বমানের নিজস্ব ভবন রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক সঠিক সময়ের মধ্যেই স্থায়ী ক্যাম্পাসে আমরা আমাদের কার্যক্রম পুরোপুরি স্থানান্তর করেছি। মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশাবলি যথাযথভাবে পালন করেই আমাদের এ ইউনিভার্সিটির শিক্ষাকার্যক্রম চলছে। উত্তরা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার মান বজায় রেখে সাশ্রয়ী শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করে। ভর্তির সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বৃত্তি ও স্কলারশিপ সুবিধা পান। আমরা চাই সব শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থীই যেন উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান। নিম্নমধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা থেকে যেন বঞ্চিত না হন, সে দিকটা মাথায় রেখে সেমিস্টারপ্রতি ১০ থেকে ১০০% পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড় পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকার উত্তরার প্রাণকেন্দ্রে এ ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস অবস্থিত। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও বাসে ঢাকার যে কোনো প্রান্ত থেকে এ ক্যাম্পাসে খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতব্যবস্থায় যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তাই সম্পূর্ণ ফ্রি বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছেন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। এ ক্যাম্পাসে রয়েছে অত্যাধুনিক শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার, লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম এবং বিনোদন ও খেলাধুলার সুব্যবস্থা। সহশিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ডিবেট ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, এনভায়রনমেন্টাল ক্লাব, আইটি ক্লাব প্রভৃতি। উত্তরা ইউনিভার্সিটি আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষা, আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশ এবং দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার জন্য একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠ। একজন শিক্ষার্থী যখন আমাদের ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন, তখন আমরা তাকে কেবল একটি ডিগ্রিই দিই না। বৈশি^ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করি। একজন অভিভাবক হিসেবে প্রত্যেকের উচিত সন্তানের রেজাল্টের দিকে খেয়াল রাখা ও তাদের মানসম্পন্ন, স্বনামধন্য ও নিরাপদ সুন্দর একটি ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখার সুযোগ করে দেওয়া।
দেশ থেকেই বিদেশের ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ ইউসিএসআইতে

বাংলাদেশ থেকেই মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বৈশ্বিক মানের বিদেশি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ উভয় সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত। আমরাই প্রথম বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ফরেন ইউনিভার্সিটির শাখা চালু করেছি। ২০২৫ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে ২৬৫তম, বিশ্বের শীর্ষ ১% ইউনিভার্সিটির তালিকায় এবং এশিয়ার সেরা ইউনিভার্সিটির মধ্যে ৪৫, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নবম অবস্থানে রয়েছে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি। মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোর্স কারিকুলাম ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে পড়ানো হয়। এ কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং সৃষ্টিশীল চিন্তাধারার উন্নয়নে যেমন সহায়ক, তেমনই তাদের ক্যারিয়ার সম্ভাবনা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আছে বিশ্বের শীর্ষ ইউনিভার্সিটিগুলোতে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা। বিশ্বের শীর্ষ ১% ইউনিভার্সিটিসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার নামকরা ইউনিভার্সিটিগুলোতে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ রয়েছে। আমরা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ সুবিধা প্রদান করছি। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ফলাফল ও প্লেসমেন্ট টেস্টের ফলাফলের বিবেচনায় স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আমাদের ক্যাম্পাস ৫ কোটি টাকার বেশি স্কলারশিপ ও বিশেষ শিক্ষাসহায়তা প্রদান করেছে। চলতি শিক্ষাবর্ষেও থাকছে পর্যাপ্ত স্কলারশিপের সুযোগ। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ ইউনিভার্সিটি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ার গড়তে উন্নত মানবসম্পদ তৈরিতে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
বিশ্ব নাগরিক তৈরির লক্ষ্য ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির

ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এফআইইউ) বিশ্বমানের নাগরিক ও গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে সুদূরপ্রসারী ও বহুমাত্রিক ভূমিকা পালন করছে। এ ইউনিভার্সিটির পাঠক্রম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, যেখানে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞানের ভারসাম্য রক্ষা করা হয়। বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য এখানে শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক দক্ষতা নয়, বরং নেতৃত্ব, কমিউনিকেশন, প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা এবং নৈতিক মূল্যবোধের দিক থেকেও গড়ে তোলা হয়। এ ছাড়া আমাদের রয়েছে ইন্ডাস্ট্রি-ইউনিভার্সিটি লিংকেজ, আন্তর্জাতিক সম্মেলন, স্কলার এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট; যা একজন শিক্ষার্থীকে বৈশ্বিক দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে সহায়তা করে। এফআইইউ কেবল একজন গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে না, বরং ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত, সচেতন ও দায়িত্ববান বিশ্বনাগরিক গড়ে তুলছে। এ ইউনিভার্সিটিতে মোট পাঁচটি ফ্যাকাল্টি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স, ফ্যাকাল্টি অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স ও ফ্যাকাল্টি অব ল। প্রতিটি ফ্যাকাল্টির অধীন বিভিন্ন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে। ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখার খরচ তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সহনীয়। আমাদের লক্ষ্য গুণগত শিক্ষা প্রদান করা, যাতে মধ্যবিত্ত ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা সহজেই উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারেন। ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মেধা ও প্রয়োজনভিত্তিক স্কলারশিপ, ওয়েভার ও ডিসকাউন্ট সুবিধাও রয়েছে; যা শিক্ষার্থীদের আর্থিক চাপ অনেকটাই হ্রাস করে।
আমাদের লক্ষ্য শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে একজন শিক্ষার্থীকে দক্ষ, সৃজনশীল এবং নেতৃত্বগুণসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি গবেষণাকে একাডেমিক চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। আমাদের লক্ষ্য শুধু ডিগ্রি প্রদান নয়, বরং জ্ঞান সৃষ্টি ও বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা। এ ইউনিভার্সিটির প্রতিটি বিভাগে গবেষণামূলক কাজের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়।
ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শুধু ডিগ্রি প্রদান করছে না; আমরা এমন স্কিল, কমিউনিকেশন, নেতৃত্বগুণ এবং বাস্তবজ্ঞান দিতে চাই যা তাদের চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে। আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, করপোরেট সেক্টর, আইটি কোম্পানি, এনজিও এবং আইন পেশায় সফলভাবে কাজ করছেন। অনেকেই উদ্যোক্তা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন।
বিশ্বমানের শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি
বিশ্বমানের শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি। এ ইউনিভার্সিটির সব প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি মাধ্যমে অধ্যয়ন করেন। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ন্যূনতম প্রযুক্তি শিক্ষার যে অপরিহার্যতা রয়েছে, এ ইউনিভার্সিটি প্রাসঙ্গিক সেমিনার ও কর্মশালার মাধ্যমে ছাত্রদের সে বিষয়ে সক্ষমতা অর্জনে সদা সচেষ্ট রয়েছে। এ ছাড়া ডিবেটিং ক্লাবসহ অন্যান্য ক্লাবের মাধ্যমে এ ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের কমিউনিকেশন স্কিল অর্জনে তৎপর আছে।
প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে চার অনুষদের অধীন সাতটি বিভাগ রয়েছে। এগুলো হলো কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, পুরকৌশল, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ব্যবসায় শিক্ষা, ইংরেজি, অর্থনীতি ও আইন বিভাগ। এর মধ্যে ইংরেজি, আইন, অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।
এ ইউনিভার্সিটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য এর বিভিন্ন প্রোগ্রামের অধ্যয়ন ব্যয় অন্য ইউনিভার্সিটির তুলনায় কম। তারা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্রদের কথা বিবেচনায় রেখে ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন প্রোগ্রামের টিউশন ফি সহনীয় পর্যায়ে রেখেছে। এ ছাড়া রয়েছে মেধাবী ছাত্রদের জন্য বৃত্তির সুযোগ।
প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির গুলশান ক্যাম্পাস একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা শহরের সন্নিকটে আমেরিকান সিটিতে এর স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জায়গা কেনা হয়েছে।
যে কোনো ইউনিভার্সিটির মূল্যায়নের অন্যতম মাধ্যমটি হলো গবেষণায় এর অবদান। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে একাধিক শিক্ষক বিশ্বমানের গবেষক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। এ ছাড়া Scopux Indexed Journal-এ এ ইউনিভার্সিটির অগণিত শিক্ষকের প্রকাশনা রয়েছে। ইউনিভার্সিটির পলিসি অনুযায়ী মানসম্মত Journal-এ গবেষণাপত্র প্রকাশের জন্য তারা তাদের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে থাকে।
প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি নিয়মিত ও খণ্ডকালীন শিক্ষকের মাধ্যমে এর একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। সম্প্রতি তিনজন ফিলিস্তিনি ছাত্রকে পূর্ণবৃত্তিসহ এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি করা হয়েছে এ ইউনিভার্সিটিতে।
প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির অন্যতম শক্তি এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। এর চেয়ারম্যান দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আবুল খায়ের গ্রুপের (AKG) কর্ণধার। তাঁর বদান্যতায় আবুল খায়ের গ্রুপে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির বিপুলসংখ্যক গ্র্যাজুয়েট চাকরি পাচ্ছেন। এ ছাড়া দেশের আইটি নির্মাণ, ব্যাংক-বিমা ইত্যাদি সেক্টরে এ ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েটরা তাদের দক্ষতার পরিচয় রেখে চলেছেন।
এ ইউনিভার্সিটির সবচেয়ে বড় শক্তি এর মেধাবী শিক্ষকমণ্ডলী। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে উত্তম সার্ভিস রুল ও বেতন কাঠামোর মাধ্যমে দেশের সেরা প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যেসব অভিভাবক নিরাপদ বাসস্থান নেই বলে তাদের সন্তানদের ঢাকায় পাঠাতে দ্বিধায় রয়েছেন, তাঁদের জন্য প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ফিমেল হোস্টেলের ব্যবস্থা রেখেছে।
বেকার থাকেন না বিইউএফটি শিক্ষার্থীরা
বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয় অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) কেবল ডিগ্রি প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি ভবিষ্যৎমুখী প্ল্যাটফর্ম যেখানে শিক্ষার্থীরা ফ্যাশন, টেক্সটাইল, বিজনেস এবং প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি আধুনিক বিশ্বের জন্য উপযুক্তভাবে নিজেদের গড়ে তুলছে। বিশ্বমানের কারিকুলাম, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যান্ডের সঙ্গে কোলাবরেশন, হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, শিল্প-সংযুক্ত শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ- এসবের মাধ্যমে বিইউএফটি এমন গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে, যারা শুধু কর্মক্ষেত্রে দক্ষ নয়, বরং সামাজিক, পরিবেশগত ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক। বিইউএফটির একটি বড় সফলতা হলো- এখানকার শিক্ষার্থীরা বেকার থাকেন না। আর এদের অধিকাংশই স্নাতকের পরপরই কর্মসংস্থানে যুক্ত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে ২২টি একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে, যার মধ্যে রয়েছে ফ্যাশন ডিজাইন, অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং, মার্চেন্ডাইজিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, নিটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ বিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ইংরেজিসহ অন্যান্য কোর্স। বিশ্ববিদ্যালয়টি তুলনামূলকভাবে মধ্যম আয়ের শিক্ষার্থীদের উপযোগী ফি-স্ট্রাকচার বজায় রেখেছে। মেধাবী ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ ও ফাইন্যান্সিয়াল এইড প্রদান করে, যার মাধ্যমে বহু শিক্ষার্থী সফলভাবে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস ঢাকার তুরাগে অবস্থিত, যেখানে রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাব, ডিজাইন স্টুডিও, লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো।
বিইউএফটির একটি বড় সাফল্য হলো এখানকার শিক্ষার্থীদের ১০০% চাকরির নিশ্চয়তা, অধিকাংশই স্নাতকের পরপরই কর্মসংস্থানে যুক্ত হন। এইচঅ্যান্ডএম, জারা, এমঅ্যান্ডএস, নেক্সট, ওয়ালমার্ট-এর মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি ডিমান্ড অনুযায়ী স্কিলড গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা হয়।
দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা সম্পূর্ণভাবে ফ্যাশন ও টেক্সটাইল শিক্ষাকেন্দ্রিক একটি একাডেমিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে উঠেছে। এখানে শুধু একটি ডিগ্রি নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। শিক্ষা, দক্ষতা, ক্যারিয়ারের গ্যারান্টি এ তিনটি বিষয়ের ভারসাম্যপূর্ণ সমন্বয়ে বিইউএফটি নিঃসন্দেহে একজন শিক্ষার্থীর জন্য সেরা গন্তব্য।