১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১০:৩৯
আ- মরি বাংলাভাষা

ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জীবনের গৌরব

হায়াৎ মামুদ


ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জীবনের গৌরব

বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জীবনের সবচেয়ে গৌরবের বিষয়। অথচ এসব ভালো কাজের খোঁজ বিদেশিরা তেমন জানে না। এগুলো জানানোর কর্তব্য রাষ্ট্রের। আমরা কোন কাজটা ঠিকমতো করি! আমরা কথা বলতে পারি, কাজ করি সামান্য। ফেব্রুয়ারি মাস এলেই কর্তা ব্যক্তিদের খোঁজখবর শুরু হয়। সারা বছর নীরব থাকে। কেন একুশে ফেব্রুয়ারি? কেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস? এ দিবসের তাত্পর্য হলো পৃথিবীর সব জাতির মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো।

পৃথিবীর মানুষের কাছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তথ্য পৌঁছাতে হবে। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কয়টা উচ্চমানের বই লেখা হয়েছে? যে সব বই প্রকাশ হয়েছে তা পৃথিবীর বহুল প্রচলিত কয়টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে? আমার বই তো আমি অনুবাদ করলে লোকে পড়বে না। অনুবাদের জন্য ভিন্ন ভাষী কিন্তু ভালো বাংলা জানেন এমন কাউকে আনতে হবে। বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিসহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের মাতৃভাষা, দেশের সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা ও প্রকাশনা করতে পারে। ভাষা বিষয়ে গবেষণা করার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হলো। তারা কি করছে আমরা কেউ জানি না।

প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার। এ ব্যাপারে দেশের গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। আমার ধারণা এগুলো তৈরি হয় জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য। তা ছাড়া রাজনৈতিক পর্যায় থেকে একাডেমিক কাজ কখনো হয় না। উঁচুমানের একদল গবেষকের নিরবচ্ছিন্ন কাজ করতে হবে। তাদের গবেষণার ফলাফল যত্ন নিয়ে একাধিক ভাষায় প্রকাশ করতে হবে। বাঙালি দেশের জন্য সম্মিলিতভাবে বড় কোনো কাজ করতে পারে না। 


লেখক : শিক্ষাবিদ


বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর