১৩ মার্চ, ২০১৬ ১১:০৬

রিজার্ভের টাকা ফেরত পেতে কয়েক বছর লাগবে

জুলকার নাইন

রিজার্ভের টাকা ফেরত পেতে কয়েক বছর লাগবে

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক হওয়া ৮০০ কোটি টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ। তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করতে কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। অবশ্য হলমার্ক, বিসমিল্লাহ ও বেসিক ব্যাংকের লুট হওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে তিনি আশা দেখেন না। হ্যাক হওয়া টাকা উদ্ধারের সম্ভাবনা কতটুকু— জানতে চাইলে ইব্রাহীম খালেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গতকাল বলেছেন, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে জমা টাকা হ্যাক হওয়ার পর তা উদ্ধারের জন্য ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে সময়ই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফিলিপাইনে লোক পাঠিয়ে সেখানকার সন্দেহজনক ছয়টি অ্যাকাউন্টের লেনদেন ছয় মাসের জন্য বন্ধ রেখেছে, যেন সেই টাকা আর বাইরে না যায়। এটা ভালো লক্ষণ। অর্থাৎ তারা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তবে প্রক্রিয়াটা দীর্ঘ মেয়াদি। টাকা ফেরত পেলেও তা এখনই পাওয়া যাবে না। যেমন আরাফাত রহমান কোকোর টাকা সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত নিয়ে আসতে প্রায় তিন-চার বছর লেগেছিল। এক্ষেত্রে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সেরকমই সময় লাগতে পারে। ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে খরচ হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধার সম্ভব কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে ইব্রাহীম খালেদ বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে হ্যাক হওয়া মার্কিন ডলার ক্যাসিনো স্থানীয় মুদ্রা ‘পেসো’-তে রূপান্তরের জন্য নেওয়া হয়েছিল। পরে সেটাকে আবার ‘পেসো’ থেকে ডলারে রূপান্তর করে ব্যাংকিং চ্যানেলে ফিলিপাইন সীমান্তের বাইরে হংকংয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই অর্থ কোথায় কোন অ্যাকাউন্টে কীভাবে রাখা হয়েছে— তা তদন্তের মাধ্যমে অবশ্যই জানা যাবে। যথাযথ উদ্যোগ নিলে সেটা বাংলাদেশেও নিয়ে আসা যাবে। স্থানীয় কোনো ব্যক্তি এটার সঙ্গে জড়িত আছেন কিনা— তাও জানা যাবে। ইব্রাহীম খালেদের কাছে প্রশ্ন ছিল ‘স্থানীয় জালিয়াতদের এনালগ পদ্ধতিতে হলমার্ক ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের নামে সোনালী ব্যাংক থেকে লুট হওয়া টাকা রাষ্ট্রের ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?’ জবাবে ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ডিজিটাল হ্যাকিং-এর টাকা উদ্ধার হওয়ার বিষয়ে আমি আশাবাদী হলেও হলমার্কের বিষয়ে খুব একটা আশাবাদী নই। এর কারণ দুটি। প্রথমত, জালিয়াতির প্রথম দিকে খুব একটা উদ্যোগ দেখা যায়নি। এমনকি মন্ত্রী মহোদয়ও চার হাজার কোটি টাকা খুব একটা বেশি টাকা নয় বলে মন্তব্য করেন। দ্বিতীয়ত, হলমার্ক-বিসমিল্লাহ’র বিষয়ে তদন্ত করেও এমন কোনো সম্পদ বা ব্যবস্থা পাওয়া যায়নি— যেখান থেকে অভিযুক্তরা টাকা ফেরত দেবেন।

বিডি-প্রতিদিন/১৩ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর