জাতীয় লিগে গতকাল প্রথম দিনটি ছিল ব্যাটসম্যানদের রান খরার দিন। চার ম্যাচে কোনো সেঞ্চুরি হয়নি। হাফ সেঞ্চুরি হয়েছে মাত্র তিনটি।
ব্যাটসম্যানের দাপুটে পারফরম্যান্সে আগের রাউন্ডে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগের বিরুদ্ধে দারুণ এক জয় পেয়েছিল খুলনা বিভাগ। দ্বিতীয় রাউন্ডেও চমৎকার নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন খুলনার ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু সেই দলটাই কিনা চতুর্থ রাউন্ডে এসে খেই হারিয়ে ফেললো। ঢাকা বিভাগের বিরুদ্ধে ম্যাচে খুলনার ইনিংস গুটিয়ে গেল মাত্র ১১৭ রানে। বাকি তিন ম্যাচেও রান খরা ছিল । রংপুর বিভাগের বিরুদ্ধে অলআউট না হলেও সারা দিনে ৭ উইকেটে ২১১ রান করেছে ঢাকা মেট্রো। চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে ২০৮ রানে অলআউট হয়েছে রাজশাহী। সিলেটের বিরুদ্ধে বরিশাল তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৫৫ রানে।
ঢাকা-খুলনাফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে দিন ছিল বোলারদের নিয়ন্ত্রণে। প্রথম দিনই মোট ১৩ উইকেটের পতন ঘটেছে। প্রথমে খুলনা অলআউট হয়ে যায় ১১৭ রানে। পরে ঢাকা বিভাগেরও তিন উইকেটের পতন ঘটেছে। ঢাকার বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি খুলনার কোনো ব্যাটসম্যানই। স্কোর বোর্ড যেন হাহাকার করছিল। খুলনার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৭ রান এসেছে ওপেনার ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। ঢাকার বোলারদের মধ্যে মাসুম খান মাত্র ১১ রানে নিয়েছেন চার উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আলী আহমেদ মানিক ও মোহাম্মদ শরীফ। পরে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়েছিল ঢাকাও। ৬১ রানেই তিন উইকেটের পতন ঘটে তাদের। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন ওপেনার জয়রাজ শেখ। হাফ সেঞ্চুরি থেকে আর মাত্র এক রান দূরে তিনি। ঢাকা দিন শেষ করেছে ৭৭ রানে।
রংপুর- ঢাকা মেট্রো
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ধীরগতির ব্যাটিং করেছে ঢাকা মেট্রো। প্রথম দিন শেষে তারা ২১১ রান করেছে মাত্র। তবে তাদের হাতে রয়েছে এখনো তিন উইকেট। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার শামসুর রহমান শুভ ও আসিফ আহমেদ। শামসুর ৯২ বলে করেছেন ৫১ রান। আর ১৩৬ বল খেলে আসিফ করেছেন ৫৬ রান। এ ম্যাচেও দারুণ বোলিং করেছেন রংপুরের স্পিনার সঞ্জিত সাহা। কাল মাত্র ৪৩ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। আরেক বোলার তানভীর হায়দারও নিয়েছেন তিন উইকেট।
রাজশাহী- চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বোলারদের বিরুদ্ধে সুবিধা করতে পারেনি রাজশাহী বিভাগের ব্যাটসম্যানরা। গতকাল তারা মাত্র ২০৮ রানেই অলআউট হয়ে যায়। তবে শুরুটা ভালোই হয়েছিল পদ্মা তীরের দলটির। এক সময় এক উইকেটে ১০০ ছিল। সেখান থেকে ২০৮ রানেই অলআউট। রাজশাহীর শেষ তিন উইকেটের পতন ঘটেছে মাত্র ৪ রানে। সর্বোচ্চ ৬৩ রান এসেছে রাজশাহীর ওপেনার নাজমুল হাসান শান্তর ব্যাট থেকে। তবে চমক দেখিয়েছেন চট্টগ্রামের বোলার ইফতেখার সাজ্জাত। মাত্র ৬৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান রানা ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন। ব্যাটিং চট্টগ্রামের শুরুটা হয়েছে চমৎকার। কাল শেষ বিকালে দুই সহোদর তামিম ও নাফিস মিলেই পার করে দিয়েছেন।
সিলেট- বরিশাল
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বরিশালকে মাত্র ১৫৫ রানেই গুঁড়িয়ে দিয়েছে সিলেট বিভাগ। স্পিনার নাসুম আহমেদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি বরিশালের ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৩২ রানে চার উইকেট নিয়েছেন এই বোলার। বরিশালের হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন আল-আমীন। পরে ব্যাট করতে নেমে এক উইকেটে ৪৫ রান করেছে সিলেট।
টায়ার-১
খুলনা বিভাগ- ঢাকা বিভাগ
খুলনা : ১১৭/১০ (৩৯.৪ ওভার) (ইমরুল ২৭, নুরুল ২৬; মাসুম ৪/১১, শরীফ ২/৩৫, মানিক ২/৪৫)
ঢাকা: ৭৭/৩ (২৪.১ ওভার) (জয়রাজ ৪৯*, মজিদ ১০; মুস্তাফিজ ২/৩৪)
রংপুর বিভাগ- ঢাকা মেট্রো
ঢাকা মেট্রো : ২১১/৭ (৯২ ওভার) (শুভ ৫১, আসিফ ৫৬; সঞ্জিত ৩/৪৩, তানভীর ৩/৭৩)
টায়ার-২
রাজশাহী বিভাগ- চট্টগ্রাম বিভাগ
রাজশাহী : ২০৮/১০ (৭২ ওভার) (শান্ত ৬৩, জুনায়েদ ৩৩, শাকির ২৮; সাজ্জাদ ৫/৬৩, রানা ২/৪৮, সাইফুদ্দীন ২/৩৯)
বরিশাল বিভাগ- সিলেট বিভাগ
বরিশাল : ১৫৫/১০ (৫৫ ওভার) (আল-আমীন ৩৬, কবির ২১*, সালেহ ২১; নাসুম ৪/৩২, খালেদ ২/২৮, কাপালি ২/৩৩)