সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় দিনের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান মেহেদি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

খেলছেন না সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা। দুই তারকা ক্রিকেটার না থাকলেও জাতীয় ক্রিকেট খেলে নিজেদের প্রস্তুত করে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েশ, নাসির হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমানরা। সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমানরা এখন দক্ষিণ আফ্রিকায়। তারকা ক্রিকেটারদের উপস্থিতি-অনুপস্থিতির মধ্যেই ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেটের তৃতীয় রাউন্ড চলছে। কাল দ্বিতীয় দিন শেষে চার ম্যাচের দুটি জমে উঠেছে এবং বোলার শাসিত দিনে কাল সেঞ্চুরি করেন খুলনার ওপেনার মেহেদি হাসান।

ফতুল্লা স্টেডিয়ামে টায়ার ওয়ানের ঢাকা-খুলনা ম্যাচটি জমে উঠেছে দ্বিতীয় দিনে। প্রথম দুদিনে উইকেটের পতন হয়েছে ২৪টি। প্রথম দিন খুলনাকে ১১৭ রানে ধসিয়ে চালকের আসনে বসেছিল ঢাকা। কিন্তু দ্বিতীয় দিন সেই সুবিধাটুকুকে কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা। বাঁ হাতি পেসার মুস্তাফিজুরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৫৪ রানে শেষ হয় ঢাকার প্রথম ইনিংস। ধারাবাহিক পারফরমার মুস্তাফিজ ৪ উইকেট নেন ৪৬ রানে। ৩৭ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ইমরুল কায়েশকে হারায় খুলনা। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন মেহিদ ও এনামুল হক বিজয় দ্বিতীয় উইকেটে ১৪৮ রানের জুটি গড়ে। মেহেদি ব্যক্তিগত ১০৪ রানে সাজঘরে ফিরলেও অপরাজিত রয়েছেন এনামুল ৭২ রানে। দ্বিতীয় উইকেট জুটির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে খুলনা দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ২০৫ রান তুলে। আজ তৃতীয় দিন খুলনা ব্যাটিংয়ে নামবে ১৬৮ রানে এগিয়ে থেকে। খুলনায় টায়ার ওয়ানের অপর ম্যাচে সমান তালে লড়ছে ঢাকা মেট্রোপলিশ ও রংপুর। ৬ উইকেট ২৪১ রান তুলে রংপুর পিছিয়ে মাত্র এক রানে। তারপরও দ্বিতীয় দিন শেষে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে রংপুর। আগের দিনের ৭ উইকেটে ২১১ রান নিয়ে খেলতে নেমে ঢাকা মেট্রোপলিশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৪২ রানে। জবাবে খেলতে নেমে রংপুর দিন শেষ করে ৬ উইকেটে ২৪১ রান তুলে।

টায়ার টুয়ে রান করে চলেছেন জাতীয় দলের ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবাল। আগের রাউন্ডে সেঞ্চুরির পর কাল খেলেন ৬২ রানের ইনিংস। তার হাফ সেঞ্চুরিতেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুশফিকের রাজশাহীর চেয়ে ৩০ রানে এগিয়ে গেছে চট্টগ্রাম। ইফতেখার সাজ্জাদের ঘূর্ণিতে প্রথম দিনে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী। খেলতে নেমে চট্টগ্রাম দিন শেষ করে বিনা উইকেটে ৪৩ রান তুলে। কাল অপরাজিত ওপেনার ও দুই ভাই তামিম-নাফিস ৭৯ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন। তামিম ব্যক্তিগত ৬২ রানে যখন সাজঘরে ফিরেন তখন দলের স্কোর ৭৯ রান। এরপর তাসামুলের অপরাজিত ৬৬ রানে ভর করে ৪ উইকেটে ২৩৮ রান তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। আজ তৃতীয় দিন মাঠে নামবে ৩০ রানে এগিয়ে থেকে। জমে উঠেছে টায়ার টুয়ের আরেক ম্যাচ। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সিলেট প্রথম দিন ১৫৫ রানে অলআউট করে বরিশালকে। জবাবে ৩ উইকেটে ১৫১ রান তুলে দিন পার করে সিলেট। কাল দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে সিলেট মাত্র ২১ রান যোগ করে হারায় ৭ উইকেট। ১৭২ রানে অলআউট হয়ে এগিয়ে থাকে মাত্র ১৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১৫১ রান তুলে। এগিয়ে রয়েছে ১৩৪ রান।  

সর্বশেষ খবর