বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ঢাকা আবাহনী ও ইস্টবেঙ্গলের জয়

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

ঢাকা আবাহনী ও ইস্টবেঙ্গলের জয়

করাচি ইলেকট্রিক সিটির জালে বল জড়ানোর পর উল্লাসে মেতেছেন আবাহনীর ফুটবলাররা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে বিজয় কেতন উড়াল ঢাকা আবাহনী ও ভারতের ইস্টবেঙ্গল। গতকাল এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ম্যাচে করাচি ইলেকট্রিক ক্লাবকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এ ক্লাব। দ্বিতীয় ম্যাচে আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী খেলতে নামে কলকাতা ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে। শক্তিশালী দল গড়েও প্রথমার্ধ্বে স্বাগতিকরা এক গোলে পিছিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ২-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।

প্রথম ম্যাচজুড়েই আধিপত্য ছিল ঢাকা আবাহনীর। ফরোয়ার্ডদের মুহুর্মুহু আক্রমণে দিশাহারা হয়ে পড়ে করাচির রক্ষণভাগ। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে থাকে ঢাকা আবাহনী। ম্যাচ শুরুর প্রথম মিনিটেই করাচি ইলেকট্রিকের রক্ষণশিবির কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো আক্রমণ করেন আবাহনীর ফরোয়ার্ড সানডে ও ক্রেস্টার। ম্যাচের চার মিনিটে আবার আবাহনীর সানডের আক্রমণ। এবার ভাগ্য জোরে রক্ষা পায় করাচি। মিনিট পাঁচের পর আবার করাচির রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে দেয় আবাহনী। ক্রেস্টারের নেওয়া ওই শট গোলবারের সামান্য পাশ দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৯ মিনিটে ক্রেস্টারের আরেকটি শট রুখে দেন করাচির গোলরক্ষক গোলাম নবী। ম্যাচের ২৩ মিনিটে আসে কাক্সিক্ষত সেই গোল। ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ গোল করেন অভিজ্ঞ ওয়ালী ফয়সাল। ২৯ মিনিটে আরেক দফা এগিয়ে যায় আবাহনী। অধিনায়ক প্রাণতোষের কাছ থেকে বল পেয়ে অসাধারণ হেডের মাধ্যমে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সানডে। ম্যাচের প্রথমার্ধ ২-০ গোলে শেষ হয়। ম্যাচের দ্বিতীয় অংশে খোলস থেকে বের হয়ে আসে করাচি ইলেকট্রিক। দ্বিতীয়ার্ধের ২৯ মিনিটে ভালোভাবে ফিরে আসে তারা। করাচির ফরোয়ার্ড মাহমুদ রাসুল অসাধারণ কোনাকুনি শটের মাধ্যমে আবাহনীর সঙ্গে ব্যবধান কমান। দ্বিতীয়ার্ধের ৩১ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় আবাহনী। ওয়ালী ফয়সালের নেওয়া শট ক্লিয়ার করতে যান হায়াতউল্লা। বল তার গায়ে লেগে চলে যায় গোলপোস্টে। ফলে ব্যবধান বেড়ে হয় ৩-১।  ৩৮ মিনিটে আবার ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয় ঢাকা আবাহনীর। সানডের কাছ থেকে বল পেয়ে দুদার্ন্ত একটি শট নেন ওযালী ফয়সাল। কিন্তু করাচির গোলরক্ষক অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে গোলবঞ্চিত করেন আবাহনীকে। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে আবার ব্যবধান কমায় করাচি।

আবাহনীর গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান করাচির আকবর আলীকে ফাউল করলে পেনাল্টির ঘোষণা দেন রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের ব্যবধান কমান করাচির সানডে। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে করাচির হেড কোচ মাজিদ শফি ম্যাচ হারার জন্য অপরিচিত কন্ডিশনকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ম্যাচের প্রথমার্ধে মাঠ ও পরিবেশ ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালোভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছি।

আগামী ম্যাচগুলো ভালো খেলার প্রত্যাশা করছি। আবাহনীর হেড কোচ অমলেশ সেন বলেন, পরিকল্পিতভাবে খেলেছে আমাদের খেলোয়াড়রা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ছেলেরা কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তাই প্রত্যাশা মতো খেলতে পারিনি। আগামী ম্যাচে এ ঘাটতি পূরণ করে আরও ভালো খেলব।

 

সর্বশেষ খবর