শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সেমির জটিল সমীকরণে দুই আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে

সেমির জটিল সমীকরণে  দুই আবাহনী

টানা দুই জয়েও সেমিফাইনাল নিশ্চিত বলতে পারছে না কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দল ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব। সে জন্য আজ ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে চাই এক পয়েন্ট। এক পয়েন্ট পেলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে কলকাতার দলটি। কিন্তু ইস্ট বেঙ্গলের পয়েন্ট প্রাপ্তি মানেই সেমিফাইনালে ঝুলে যাওয়া ঢাকা আবাহনীর ভাগ্য। সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে ইস্ট বেঙ্গলকে হারাতেই হবে ঢাকা আবাহনীর। ঢাকার দলটির মতো একই অবস্থা চট্টগ্রাম আবাহনীরও। জাতীয় দলের একাধিক ফুটবলারকে নিয়ে গড়া দলটিরও উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে সেমিতে খেলার। এ জন্য আজ হারাতে হবে পয়েন্ট তালিকার শেষ দল করাচি ইলেকট্রিককে। ফলে সেমিতে খেলার জটিল সমীকরণে আটকে রয়েছে দুই আবাহনী। দল দুটির সঙ্গী অবশ্য ফেবারিট ইস্ট বেঙ্গলও।

প্রথম ম্যাচে করাচি ইলেকট্রিককে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছিল ঢাকা আবাহনী। বিপরীতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ইস্ট বেঙ্গলের কাছে ১-২ গোলে হেরে অমৃসণ পথে এসে পড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় চট্টগ্রামের দলটি। ঘুরে দাঁড়ায় ফেবারিট ঢাকা আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়ে। এই জয়ে সেমিফাইনালের পথ উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের দলটির। বিপরীতে হেরে পিছলে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ঢাকা আবাহনীর। পরশু চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়ার্ধের গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হেরে যায় ঢাকা আবাহনী। ওই ফলাফলে দুই দলের পয়েন্ট এখন ২ ম্যাচে ৩। হেরে যাওয়ার পর ঢাকার ক্লাবটির কোচ অমলেশ সেন বলেছিলেন, ‘ফ্রি কিকে হেরে যাওয়ায় শেষ ম্যাচটি আমাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই হয়ে পড়ল। ইস্ট বেঙ্গল দল হিসেবে ভালো। দলটির ফুটবলারদের ফিটনেস লেভেল ভালো। ফুটবলারদের বোঝাপড়াও খুব ভালো।’ 

প্রথম ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গলের কাছে ১-২ গোলে হেরে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। হারলেও লড়াই করে সমানতালে। সেই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের সুখ স্বাদ নেয় শফিকুল ইসলাম মানিকের দলটি। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে তুলে নেয় জয়। এ জয় এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছে বড় কিছুর। আজ ঢাকা আবাহনীর তুলনায় অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে ময়দানি লড়াইয়ে নামবে চট্টগ্রামের দলটি। প্রতিপক্ষ করাচি ইলেকট্রিক দুই ম্যাচে হেরে এর মধ্যেই বিদায় নিয়েছে আসর থেকে। দুই ম্যাচে দলটি গোল খেয়েছে ৬টি। এমন একটি দলের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলতে নামবেন এমিলি, জাহিদরা। আত্মবিশ্বাস কোচ মানিকও, ‘আবাহনীর বিপক্ষে ছেলেরা ভালো খেলেছে। সেমিফাইনালে খেলতে হলে করাচির বিপক্ষে আমাদের জিততেই হবে। কেননা গোল পার্থক্য গ্রুপে বড় হয়ে উঠেছে।’

সর্বশেষ খবর