দীর্ঘদিন ধরে ফুটবল খেলছে। কিন্তু চট্টগ্রাম লিগ শিরোপা ছাড়া চট্টগ্রাম আবাহনীর বড় ধরনের সাফল্য নেই বললেই চলে। একবার নিটল টাটা জাতীয় লিগে সেমিফাইনালে খেলেছিল এই যা। আজ এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে নিজেদের আয়োজিত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে সেমিফাইনাল খেলবে তারা। প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নামবে আফগানিস্তান চ্যাম্পিয়ন বাজান ক্লাব। রাত ৭টা ৪০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হবে। পেশাদার লিগে দুর্বল দল নিয়ে মাঠে নামলেও শেখ কামাল ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম আবাহনীর চেহারা পাল্টে গেছে। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের অধিকাংশ ফুটবলার অতিথি হিসেবে তাদের দলে খেলেছেন। এ জন্য শেখ রাসেল কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করতে হয়। টুর্নামেন্টে তাদের আমন্ত্রণ না জানালেও দেশের স্বার্থে চট্টগ্রাম আবাহনীতে খেলোয়াড়দের খেলার অনুমতি দিয়েছেন। ঢাকা আবাহনী গ্রুপ পর্ব খেলেই বিদায় নিয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা মোহামেডান ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। সাদাকালোর ঐতিহ্যবাহী দলটি আগামীকাল কলকাতা ইস্ট বেঙ্গলের মুখোমুখি হবে। অর্থাৎ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের দুটি ক্লাবেই সেমিফাইনাল খেলছে। তবে শক্তির বিচারে চট্টগ্রাম আবাহনীকে এগিয়ে রাখা যায়। প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ২-১ গোলে হারলেও এমিলিরা অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিল তাতে ম্যাচ জেতা উচিত ছিল স্বাগতিকদের। এই হারে চট্টগ্রাম আবাহনীর সেমিফাইনাল অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু পরবর্তী দুই ম্যাচে উজ্জীবিত হয়ে ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ চারে ঠাঁই করে নেয়। ঢাকা আবাহনীকে ১-০, করাচি ইলেকট্রিক ক্লাবকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত হ্যাটট্রিক হয়েছে একটি। তা করেছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর জাহিদ। স্বাগতিকদের প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে জাহিদ পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলছেন। রক্ষণভাগ কিছুটা এলোমেলো হলেও মধ্যমাঠ ও আক্রমণভাগ বেশ সক্রিয়। যে পরিকল্পনা নিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে তা চোখে পড়ার মতো।
বাজানের কোচ মোহাম্মদ ওয়াহিদুল্লাহ বলেন, সেমি মানেই বাঁচামরার লড়াই। হারলেই বিদায়। তাই চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে আমরা জেতার প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামব। দর্শক ও পরিবেশের কারণে স্বাগতিকরা কিছুটা সুবিধা পাবে ঠিকই। তারপরও এ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। ফুটবল গোলের খেলা। যারা গোল দেবে তারাই জিতবে। ছেলেদের বলেছি বেশি চাপ নেওয়ার দরকার নেই। স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেই হাসি মুখে মাঠ ছাড়তে পারবে। এদিকে নিজেদের টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম আবাহনী সেমিফাইনাল খেলছে। এ নিয়ে দর্শকদের ভিতর উৎসব ও উত্তেজনা দুটোই কাজ করছে। আয়োজকরা আশা করছেন দুই সেমিফাইনাল দেখতে প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটবে।