বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সিলেট জিতলেও বাকি দুই ম্যাচ ড্র

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সিলেট জিতলেও বাকি দুই ম্যাচ ড্র

তৃতীয় দিনেই ম্যাচ জিতে নেয় বরিশাল। টানা দুই জয়ে টায়ার টুয়ে পয়েন্ট টেবিলের সবার উপরে বরিশাল। এবার তাদের পিছু নিল সিলেট। আগামী মৌসুমে টায়ার ওয়ানে খেলতে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। সেই লড়াই এখন বরিশাল ও সিলেটের মধ্যে। কাল ৫ উইকেটে চট্টগ্রামকে হারিয়ে লড়াইয়ে শামিল হলো সিলেট। তবে টায়ার ওয়ানে উঠার লড়াইয়ে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে বরিশাল। সিলেটের পয়েন্ট ৩৫। ওয়ালটন জাতীয় লিগের টায়ার ওয়ানের ম্যাচ দুটিতে অবশ্য হার-জিত হয়নি। ড্র হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিশ-খুলনা এবং ঢাকা-রংপুর ম্যাচ।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাল স্বাগতিক চট্টগ্রাম ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ৬ উইকেটে ১৮৮ রান নিয়ে। ১৭৫ রানে এগিয়ে রাখার সুবিধাটুকুকে কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস শেষ হয় ২৭২ রানে। সিলেটকে ২৬০ রানের টার্গেট দেওয়ার নায়ক তরুণ ইয়াসির আলী। ইয়াসিরের আগের দিনের ইনিংসটি শেষ হয় ৮১ রানে। টার্গেট ২৬০। করতে হবে দুই সেশন বা ৬০ ওভারে। ওভার প্রতি সাড়ে ৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ইমতিয়াজ হোসেন, শাহনাজ আহমেদ ও জাকির হাসানের তিন তিনটি হাফসেঞ্চুরিতে অবিশ্বাস্য জয় তুলে নেয় সিলেট। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৬৪ রান তুলে নেয় ৫২.২ ওভারে। ইমতিয়াজ ৭৪ রান করেন ৯৮ বলে। শাহনাজ ৭৬ করেন ১০৭ বলে। তবে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন জাকির। ৫৫ রান করেন ৬৬ বলে।

নারায়ণগঞ্জ খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ড্র হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিশ-খুলনার ম্যাচ। ব্যাটসম্যানদের আধিপত্যের ম্যাচে সেঞ্চুরি হয়েছে তিনটি। প্রথম ইনিংসে শামসুর রহমান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরিতে মেট্রোপলিশের সংগ্রহ ছিল ৩৯৯ রান। জবাবে খুলনার প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ৩৬৭। ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেন বাঁ হাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস। ২২ রানে এগিয়ে থাকা ঢাকা মেট্রোপলিশের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ২৬২। কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন শরীফুল্লাহ। ২৮৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে খুলনা দিন শেষ করে দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মেহেদি হাসান মিরাজের উইকেট হারিয়ে। ড্র হয়েছে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা-রংপুর ম্যাচ। তারিক আহমেদ, নাঈম ইসলাম ও ধীমান ঘোষের তিন সেঞ্চুরিতে রংপুরের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ছিল ৪৬৩। জবাবে ঢাকার প্রথম ইনিংস শেষ হয় মাত্র ২৭৬ রানে। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২৪৭ রান করে। আগের দিনের ১ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে খেলতে নেমে সাঈফ হাসান ও নাদিফ চৌধুরীর দৃঢ়তায় দিন পার করে। সাঈফ ৮৪ রানে সাজঘরে ফিরলেও নাদিফ অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। আসরের আরও এক রাউন্ড বাকি।                

সর্বশেষ খবর