বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কে হচ্ছেন নতুন অভিভাবক

ক্রীড়া ডেস্ক

কে হচ্ছেন নতুন অভিভাবক

রবার্ট গুয়েরিন এবং আরও অনেকের অক্লান্ত পরিশ্রমে ফুটবল একটি আন্তর্জাতিক খেলা হিসেবে সংগঠিত হয় ১৯০৪ সালে। সে বছর ১৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিফা সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ফরাসি নাগরিক রবার্ট গুয়েরিন। এরপর পেরিয়ে গেছে ১১১ বছর। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা পেয়েছে মাত্র ৮ জন সভাপতি। এর মধ্যে ফরাসি নাগরিক জুলে রিমে ৩৩ বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২৪ বছর এই পদে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান হুয়াও হ্যাভলেঞ্জ। এছাড়া ব্রিটিশ নাগরিক স্টেনলি রুজ ১৩ বছর, ড্যানিয়েল বার্লি ১২ বছর এবং আর্থার ড্রিউরি ৬ বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ বরখাস্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ১৭ বছর ধরে ফিফা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন সুইস নাগরিক সেপ ব্ল্যাটার। তার বরখাস্ত হওয়ার মধ্য দিয়েই ফিফা এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

ফিফা সভাপতি নির্বাচন নিয়ে এর আগে কখনোই এত হৈচৈ হয়নি। এবারে যেমন সাতজন ফিফা সভাপতি পদে অফিশিয়ালি নির্বাচনের জন্য বিবেচিত হয়েছে, এমন সংখ্যাও এর আগে আর ছিল না। মাঝেমধ্যে নির্বাচন করার প্রয়োজনই হতো না প্রার্থীর অভাবে। গতবার অবশ্য জর্ডানের প্রিন্স আলি বিন হুসেইন শক্ত লড়াই করেছিলেন সেপ ব্ল্যাটারের বিপক্ষে। ফিফার অতীত যাই হোক বর্তমান বলছে, এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। ফুটবল প্রবেশ করতে যাচ্ছে এক ক্রান্তিকালে। নতুন সভাপতি, নতুন সেটআপ নিয়ে ফুটবল কি ভবিষ্যতের আঙ্গিনায় তার পদচারণা আরও গতিশীল করতে পারবে? এর জন্য অবশ্য প্রয়োজন একজন যোগ্য সভাপতি নির্বাচন। ফিফা ঘোষণা করেছে, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াই করবেন সাতজন। গত নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী জর্ডানের প্রিন্স আলি বিন হুসেইন ছাড়াও এই তালিকায় আছেন সাবেক ফরাসি তারকা মিশেল প্লাতিনি, এএফসি প্রেসিডেন্ট বাহরাইনের সালমান বিন আল খলীফা,  ফরাসি কূটনীতিক জেরোমি চ্যাম্পেঞ্জ, দক্ষিণ আফ্রিকান টোকিও স্যাক্সওয়েল, সুইস আইনজীবী জিয়ানি ইনফেনটিনো এবং লাইবেরিয়ান ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুসা বিলিতি। এদের মধ্যে নিঃসন্দেহে একজন ফুটবল সংগঠক হিসেবে সবচেয়ে যোগ্য সাবেক ফরাসি ফুটবলার মিশেল প্লাতিনি। তার দীর্ঘ সাফল্যময় ফুটবল ক্যারিয়ারের পাশাপাশি রয়েছে উয়েফা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাও। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সেপ ব্ল্যাটারপন্থী হিসেবে তিনি ফুটবল প্রাঙ্গণে এরই মধ্যে যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছেন। আর বর্তমানে নিষিদ্ধ থাকায় তার প্রতি অনেক ভোটারই আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। বাকি প্রার্থীদের মধ্যে এএফসি প্রেসিডেন্ট সালমান বিন আল খলিফাই হতে পারেন সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী। এএফসি সভাপতি হওয়ায় তার যেমন সংগঠক হিসেবে রয়েছে অভিজ্ঞতা তেমনই রয়েছে একটা বিশাল ভোট ব্যাঙ্কও। তবে তার সঙ্গে কঠিন লড়াই হতে পারে জর্ডানের প্রিন্স আলি বিন হুসেইন।

আপাতত শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মিশেল প্লাতিনি, প্রিন্স আলি বিন হুসেইন এবং সালমান বিন আল খলিফার নাম উঠে আসলেও ভোটাররা যেকোনো মুহূর্তেই ভোল     পাল্টে ফেলতে পারেন। এমনকি সম্পূর্ণ নতুন মুখ হিসেবে কারও উঠে আসার সম্ভাবনাও একেবারেই বাদ দেওয়া যাচ্ছে না! সেক্ষেত্রে অপরিচিত মুসা বিলিতিই হয়ে উঠতে পারেন প্রধান প্রার্থী!

সর্বশেষ খবর