সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

রাব্বি-আল আমিন চূড়ান্ত দলে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রাব্বি-আল আমিন চূড়ান্ত দলে

বিশ্বকাপের বিভীষিকার কথা কি কোনো দিন ভুলতে পারবেন পেসার আল আমিন হোসেন? স্বপ্ন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন। কিন্তু ফিরতে হয়েছিল দুঃস্বপ্ন নিয়ে। কোনো ম্যাচ না খেলেই তাকে ফিরতে হয়েছিল। সঙ্গী হয়েছিল শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগও। তারপর বাংলাদেশ ঘরের মাঠে তিন তিনটি সিরিজ খেলেছে। পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেট পরাশক্তিকে সিরিজে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বরে উঠেছে। সুযোগ পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ আসরে  খেলার। গত কয়েক মাসে বার বার ক্রিকেট উম্মাদনায়  গোটা দেশ উদ্ভাসিত হয়েছে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া আনন্দে মেতেছিল। কিন্তু আল আমিন কী আনন্দ করতে  পেরেছিলেন?

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বাদ পড়া, তারপর বার বার উপেক্ষিত হওয়ায় একজন ক্রিকেটারের মনের অবস্থা যে কতোটা খারাপ হতে পারে তা আল আমিনের  চেয়ে আর কে ভালো বুঝতে পারবেন? তবে আল আমিন হার মানার পাত্র নন। বার বার উপেক্ষার জ্বালা বুকে চেপে  রেখে নিয়মিত অনুশীলন করে গেছেন। ঘরোয়া লিগে পারফর্ম করেছেন। আর সে কঠোর পরিশ্রমের ফল হিসেবেই কিনা আবারও জাতীয় দলের চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন।

প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছিল কয়েকদিন আগেই। ১৮ সদস্যের দলে নিজের নাম দেখে হয়তো কিছুটা স্বস্তিবোধ করছিলেন এই পেসার। গতকাল চূড়ান্ত দলেই জায়গা পেয়ে গেলেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য ১৪ সদস্যের প্রথমবারের মতো জায়গা পেয়েছেন আরেক পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ঘরোয়া লিগে দাপুটের সঙ্গে পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে জাতীয় দলে সুযোগ  পেয়েছেন তিনি। সদ্য ইনজুরি থেকে ফেরা গতি তারকা তাসকিন আহমেদকে প্রাথমিক দলে রাখা হলেও চূড়ান্ত দলে নেওয়া হয়নি। ইনজুরির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলতে পারেননি তাসকিন। কিন্তু পরের সিরিজে ফিরতে ইনজুরি লুকিয়ে ‘এ’ দলের হয়ে ভারত সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম! আবারও একই ইনজুরিতে পড়তে হয়েছিল তাকে। তবে এখন সুস্থ হলেও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে তাসকিনকে চূড়ান্ত দলে নিয়ে আর কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি বিসিবি। তাই ১৪ সদস্যের দলে তাকে রাখা হয়নি।

ইনজুরি থেকে ফেরা আরেক পেসার শফিউল ইসলাম সুহাসকেও চূড়ান্ত দলে রাখা হয়নি। বাদ পড়েছেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক বিজয়ও। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজের জন্য অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনার হিসেবে রয়েছেন  সৌম্য সরকার। এছাড়া সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন তো রয়েছেনই। স্পিনার হিসেবে রয়েছেন আরাফাত সানি ও জুবায়ের হোসেন লিখন। আর কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান তো রয়েছেই।

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডে  খেলবে ৭, ৯ ও ১১ নভেম্বর। ১৩ ও ১৫ তারিখ হবে দুটি টি-২০। সবকটি ম্যাচই হবে দিবা-রাত্রির। খেলাগুলো হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এছাড়া ফতুল্লায় ৫ নভেম্বর একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড

মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি, মুস্তাফিজুর রহমান, জুবায়ের হোসেন, আল আমিন হোসেন, কামরুল ইসলাম রাব্বি

সর্বশেষ খবর