শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অবশেষে সিরিজ পাকিস্তানের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অবশেষে সিরিজ পাকিস্তানের

শারজাহ টেস্ট আজীবন মনে থাকবে শোয়েব মালিকের। এখানেই সাদা পোশাকে খেলার যবনিকাপাত টানেন তিনি। শারজাহতেই আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৫ টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানেন শোয়েব। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে ব্যাটসম্যান শোয়েব দ্যুতি ছড়াতে না পারলেও প্রিয় দল পাকিস্তানের জয়ে অবদান রাখেন বল হাতে। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিততে সহায়তা করেন সাবেক অধিনায়ক। তার ঘূর্ণিতেই ১২৭ রানে টেস্টটি জিতেছে পাকিস্তান। তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ড্র হয়েছিল আলোর স্বল্পতায়। পরের দুটি জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে মিসবাহ-উল হকের পাকিস্তান। অধিনায়ক মিসবাহ’র এটা ২০ নম্বর টেস্ট জয়।

২৮৪ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় দিনেই ব্যাকফুটে চলে এসেছিল ইংল্যান্ড। কাল টেস্টের শেষ দিন ২ উইকেটে ৪৬ রান নিয়ে খেলতে নামেন অ্যালিয়েস্টার কুকরা। খেলতে নেমেই লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ, জুলফিকার বাবর ও শোয়েব মালিকের ঘূর্ণিতে ৪৬-৫৯ রানের মধ্যে হারিয়ে বসে আরও ৪ উইকেট। ১৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারানোর এই ধাক্কা সামলাতে ব্যর্থ ইংল্যান্ডের ইনিংস খুব বেশি এগোয়নি। গুটিয়ে যায় ১৫৬ রানে। অধিনায়ক কুক ৬৩ রান করে যা একটু লড়াই করেছেন। লেগ স্পিনার ইয়াসির ৪৪ রানে ৪ উইকেট। শোয়েব মালিক প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৩ উইকেট। দুই ইনিংসে ৭ উইকেট, শোয়েবের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ম্যাচ সেরা হন মোহাম্মদ হাফিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে হাফিজ খেলেন ১৫১ রানের ইনিংস। তার ওই ইনিংসেই পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ছিল ৩৫৫। প্রথম টেস্ট না খেলেও সিরিজ সেরা হন ইয়াসির শাহ। দুই টেস্টে তার উইকেট সংখ্যা ১৫টি। টেস্টটি মাঠে গড়ানোর আগে আলোচনায় আসে অধিনায়ক মিসবাহ-উল হকের জন্য। ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরিকল্পনা ছিল মিসবাহর। কিন্তু ভারত খেলতে রাজি না হওয়ায় শারজাহ টেস্টকেই শেষ বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। অধিনায়কের এই পরিকল্পনাকে সমর্থন না দিয়ে আরও এক বছর ক্রিকেট খেলতে অনুরোধ করে পিসিবি। সেই অনুরোধে সাড়াও দেন। ফলে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সিরিজে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে মিসবাহকে। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যখন সিরিজ খেলবেন

সর্বশেষ খবর