শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মিলন সানাকে ঘিরেই যত আশা

এস এ গেমসে আর্চারি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিলন সানাকে ঘিরেই যত আশা

ইমদাদুল হক মিলন

২০১০ সালে ঢাকায় এস এ গেমসে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স শো করেছিল বাংলাদেশ। গেমস ইতিহাসে সেবারই সর্বোচ্চ ১৮টি সোনা জেতার কৃতিত্ব পেয়েছিল। ১৯৮৪ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর ভারতই পদক তালিকায় শীর্ষে থাকছে। সত্যি বলতে কি এস এ গেমসে ভারতের অবস্থান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশ পদক তালিকায় শীর্ষে থাকবে তা আশা করা যায় না। ছয় বছর পর ফেব্রুয়ারিতে শিলংয়ে গেমসের পর্দা উঠবে। আয়োজক হয়েও নানা জটিলতার কারণে নিয়ম রক্ষা করে গেমস নামাতে পারেনি ভারত। এক সময় মনে হচ্ছিল জনপ্রিয় এ খেলা অনিশ্চিয়তায় বন্দী থাকবে। কিন্তু সেই ভয় কেটে গেছে। এখন শুধু গেমস নামার অপেক্ষা। প্রথমে ঘোষণা ছিল জানুয়ারি পরে অতিরিক্ত শীতের কথা চিন্তা করে ফেব্রুয়ারি মাসে তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে অন্য সময় গেমসকে ঘিরে আয়োজকদের তত্পরতা চোখে পড়লেও এবার তা দেখা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ বিভিন্ন ইভেন্টের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছে। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহেদ রেজা বলেছেন, বাংলাদেশ সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায়। অন্যান্য বারের চেয়ে প্রশিক্ষণকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও আবাসিকসহ নানা সমস্যা লেগেই আছে। কিন্তু খেলোয়াড়রা ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী। গেমসে সোনা মানেই অ্যাথলেটিকস সাঁতার ও শুটিং। ঢাকায় ১৮টি সোনা আসলেও তিন খেলায় তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি খেলোয়াড়রা। শিলং গেমসে আর্চারি ইভেন্টেও সাফল্যে আশা করা যাচ্ছে। বিশ্বে জনপ্রিয়তা থাকলেও বাংলাদেশে আর্চারির আবির্ভাব ঘটে কয়েক বছর আগে। খো-খো কে জনপ্রিয় করার পেছনে অভিজ্ঞ সংগঠক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপলের বড় ভূমিকা ছিল। বাংলাদেশে মূলত আর্চারি ফেডারেশন গঠন হয় তারই প্রচেষ্টায় হাঁটি হাঁটি পা পা করে এ খেলাও এগুতে শুরু করেছে। অনেকে তাই বলেন চপল যা ধরেন চমক দেখিয়ে ছাড়েন। যাক এস এ গেমস, এশিয়ান গেমস ও অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের আর্চাররা অংশ নিচ্ছে। কিন্তু চমক বলতে যা বুঝায় তা দেখানো সম্ভব হয়নি। বড় সাফল্য বলতে ২০১৪ সালে থাইল্যান্ড এশিয়ান কাপে রিকার্ভ ইভেন্টে রোমান সানার সোনা জয়। আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চপল এবার এস এ গেমসে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, টঙ্গী স্টেডিয়ামে আমরা মে মাস থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছি। রিকার্ভ ও কমপাউন্ড ইভেন্টে দুজন বিদেশি কোচ ২৪ জন আর্চারকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। রিকার্ভের দায়িত্বে আছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কিংহেগ ও কমপাউন্ডে ভারতের নিশিথ দাস। ২৪ জন আরচার ক্যাম্পে থাকলেও গেমসে যাবেন ৮ জন পুরুষ ও ৮ জন মহিলা প্রতিযোগী। ভারতের মাটিতে সোনা জেতা কি সম্ভব? এ ব্যাপারে চপল বলেন, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তারপরও আমি আশাবাদী। বিশেষ করে তিন পুরুষ আর্চার এমদাদুল হক মিলন, শেখ সজিব ও রোমান সানার ব্যাপারে আশাবাদী চপল। তিনি বলেন, মিলন ও সানা যদি নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স শো করতে পারে তাহলে কম পক্ষে দুটি সোনা আশা করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর