শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

চ্যালেঞ্জটা বাফুফেরও

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চ্যালেঞ্জটা বাফুফেরও

ক্রিকেটে বড় কোনো ট্রফি জেতার কৃতিত্ব নেই বাংলাদেশের। তারপরও এ খেলাকে ঘিরেই যত উম্মাদনা। ওয়ানডেতে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা এখন বাংলাদেশের স্বাভাবিক ঘটনা। পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে। টি-২০ ও টেস্টেও ব্যাট-বলে দাপটের স্বাক্ষর রাখছে। সেদিক দিয়ে ফুটবল বড্ড ম্লান। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো সাফল্য নেই বললেই চলে। ব্যর্থতার দেয়ালে যেন পিঠ ঠেকে গেছে ফুটবলারদের। সামর্থ্য থাকলেও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও সুবিধা করতে পারছে না। গত দুই আসরের পারফরম্যান্সে চরম ভরাডুবি। গ্রুপপর্ব খেলেই বিদায়। অথচ ঘরোয়া লিগে ক্রিকেটারদের চেয়ে এখনো পারিশ্রমিক বেশি পাচ্ছেন ফুটবলাররা।

যাক অতীত ভুলে গিয়েই সাফে এবার জ্বলে উঠতে চায় বাংলাদেশ। ২৩ ডিসেম্বর ভারতের কেরালায় সার্ক অঞ্চলের বিশ্বকাপ বলে খ্যাত ফুটবলে এ আসরের পর্দা উঠবে। শিরোপা নিষ্পত্তি হবে জানুয়ারিতে। অর্থাৎ যারাই চ্যাম্পিয়ন হোক বছরটা শুরু করবে বড় সাফল্য দিয়ে। বাংলাদেশ এ সুযোগটা হাত ছাড়া করতে চাচ্ছে না। একযুগ পর চ্যাম্পিয়নের ট্রফি উদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ মাঠে নামবে। ২৮ জন ফুটবলারকে নিয়ে রবিবার বিকেএসপিতে সাফের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শুরুতেই নতুন কোচ মারুফুল হক শিষ্যদের সতর্ক করে বলেছেন, কোনোভাবেই শৃঙ্খলা ভাঙা যাবে না। ভাঙলেই ক্যাম্প ছাড়তে হবে। সত্যি বলতে কি ব্যর্থতার পেছনে বাংলাদেশের শৃঙ্খলা ভাঙাকেও দায়ী করা যায়। গত কয়েকটি খেলায় শৃঙ্খলা ভাঙাটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। খেলোয়াড়রা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অতীত ভুলে তারা এবার শিরোপা জেতার জন্য লড়বে।

অনেক দিন পর দেশের কোনো কোচ জাতীয় দলের দায়িত্ব পেলেন। তারপর আবার মারুফ আগে জাতীয় দলের দায়িত্বে ছিলেন না। যোগ্য কোচকেই বেছে নিয়েছে বাফুফে। এমন গুরুকে কাছে পেয়ে খেলোয়াড়রা সন্তুষ্ট। ক্যাম্পে প্রতিটি খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স তার জানা আছে। সেই ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই কেরালায় উড়ে যেতে পারবে। কঠিন মিশন হলেও মারুফ, মামুনুলদের টার্গেট শিরোপা। এক সপ্তাহ অতিক্রম হলো প্রশিক্ষণের। প্রতিটি খেলোয়াড় উজ্জীবিত হয়ে ঘাম ঝড়াচ্ছেন। সবাই জানেন এবারের আসর বড্ড চ্যালেঞ্জের। ব্যর্থ হলে ফুটবলের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ আরও হারিয়ে যাবে। দুশ্চিন্তায় আছে ফুটবল ফেডারেশনও। সাত বছর ধরে প্রায় একই লোক কমিটির দায়িত্বে আছেন। সাফল্যের ভাণ্ডার শূন্যই বলা যায়। সাফে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে কর্মকর্তাদের মুখ দেখানো মুশকিল হয়ে পড়বে। সুতরাং চ্যালেঞ্জ শুধু মামুনুলদের নয় বাফুফেরও।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর