রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

লিগ কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

লিগ কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি

ক্লাবগুলোর বকেয়া অর্থ মেটানো হয়নি। তারপর আবার মৌসুমের ক্যালেন্ডার ঠিক না করে ফুটবলে নতুন দলবদলের তারিখ ঘোষণা। বাফুফের এমন অগোছালো কর্মকাণ্ডে ফুটবলপ্রেমীরা হতবাক। আগের মৌসুমে দলবদলের এক বছরও যায়নি এ অবস্থায় ক্লাবগুলো পর্যাপ্ত ফান্ড পাবে কোথায়। পেশাদার লিগ চালু হলেও দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা বাফুফে অপেশাদার মনোভাবে ক্লাবগুলোও ক্ষুব্ধ। কারণ তারা বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন। গতবার লিগ কমিটির সভাপতি বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী ঘোষণা দিয়েছিলেন ফেডারেশন কাপ, লিগ ছাড়াও সুপার কাপ ও স্বাধীনতা কাপ অনুষ্ঠিত হবে। চারটিই ঘরোয়া ফুটবলে নিয়মিত শিডিউল। অথচ লিগ কমিটি এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এবার আন্তর্জাতিক শিডিউলের ব্যস্ততা দেখিয়ে সুপার কাপ ও স্বাধীনতা কাপ বাতিল ঘোষণা করে। ক্লাবগুলো চারটি আসরকে গুরুত্ব দিয়েই ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি করে। বাফুফে এটা ভালোমতোই জানে। তারপরও তাদের দায়িত্বহীনতায় ক্লাবগুলোকে বড় অংকের লোকসান গুনতে হচ্ছে।  টুর্নামেন্ট হচ্ছে না অথচ খেলোয়াড়রা বাকি অর্থ তো    ফেরত দিচ্ছে না।

লিগ কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর থেকে নতুন মৌসুমের দলবদল শুরুর কথা। কিন্তু কবে কোন খেলা সেই শিডিউল দিতে পারেনি। কিসের ওপর ভিত্তি করে ক্লাবগুলো দলবদলে নামবে। আসলে বাফুফে যেভাবে ফুটবল পরিচালনা করছে তা বিশ্বে কোথাও নেই। বকেয়া পাওনা মেটাচ্ছে না। তারপরও আবার খেলার শিডিউল ছাড়া দলবদল। এতে কি ফেডারেশনের ওপর আস্থা রাখা যায়? গতকাল তাই ওয়েস্টিন হোটেলে পেশাদার লিগে অংশ নেওয়া শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, ঢাকা মোহামেডান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও টিম বিজেএমসির কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন। শেখ জামাল সভাপতি মনজুর কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোহামেডানের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, শেখ রাসেলের পরিচালক গোলাম রব্বানী হেলাল, ব্রাদার্স ইউনিয়নের আমের খান, টিম বিজেএমসির মজিবর রহমান মলি­ক ও শেখ জামালের নজিব আহমেদ। বৈঠক শেষে কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ফুটবল মানের চরম অবনতি ঘটেছে। বাফুফে সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। একাডেমি চালুর আগেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। মাস্টারপ্লান করা উচিত ছিল। এ কমিটি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী খেলা চালাতে পারছে না। বর্তমান কমিটির কাজী নাবিল আহমেদ ও তাবিথ আউয়াল ছাড়া আর কোনো কর্মকর্তা ফুটবলের জন্য একটিও টাকা খরচ করেন না। কাদের বলেন, বর্তমান ‘লিগ কমিটি ভেঙে দিতে হবে। যোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। তা না হলে দলবদলে অংশ নেব না। বাফুফে আমাকে শোকজ দিয়েছে। কিন্তু এতে আমি ভীত নই। ফুটবলকে ভালোবাসি তাই অন্যায় প্রতিবাদ করে যাব।’ গোলাম রব্বানী হেলাল বলেন, বাফুফের কারও সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব নেই। সবাই আমাদের বন্ধু ও সহকর্মী। কাদের ও লোকমানের শোকজের নিন্দা জানাই। বাফুফেকে এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ক্লাবগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করতে হবে। ক্লাব ছাড়া ফেডারেশনের কোনো মূল্য নেই।’

সর্বশেষ খবর