সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্রতিশোধ নিল সিলেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

 

প্রতিশোধ নিল সিলেট সুপার স্টারস। প্রথম পর্বে বরিশাল বুলসের কাছে হেরেছিল মাত্র ১ রানে। কাল ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা সিলেট। হারের ধাক্কা সামলে জয়ের রাস্তায় উঠে আসতে সিলেটকে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের টি-২০ অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। ‘বুম বুম’ আফ্রিদি হঠাৎ নেতৃত্ব পান সিলেটের। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাকে অধিনায়ক নিয়োগ দেন মুশফিকুর রহিমের বদলে। অধিনায়ক বদলের ম্যাচে শুধু হারেনি বরিশাল, ক্যারিবীয় ‘ক্রিকেট দানব’ ক্রিস গেইলকে নিয়ে বিপিএলের সর্ব নিম্ন রানে অল আউট হওয়ার রেকর্ডও গড়েছে।  তিন ধাপের বিপিএলের শেষটি শুরু হয়েছে কাল। প্রথম ধাপে খেলতে আসেন কুমার সাঙ্গাকারা, মিসবাহ-উল-হক, তিলকরত্নে দিলশান, মোহাম্মদ আমেরদের মতো তারকা ক্রিকেটার। আফ্রিদি আসেন চট্টগ্রাম পর্বে। শেষ ধাপে শুক্রবার আসেন গেইল। ঢাকায় পা রেখেই ড্যাসিং গেইল জানিয়েছিলেন, এসেছেন শুধু ছক্কা হাঁকাতে! তার উপস্থিতিতে বিপিএলের আবেদন বেড়ে যায় কয়েক গুণ। আগের ম্যাচগুলোতে যেখানে গ্যালারি থাকতো ফাঁকা, কাল গেইলের ব্যাটিং তাণ্ডব দেখতে উপচে পড়েছিল দর্শক। কিন্তু হতাশ হয়েই ফিরেছেন সবাই। ম্যাচ প্রতি ৩৫ হাজার বা ২৮ লাখ টাকা পারিশ্রমিকে খেলতে আসা গেইল কাল খেলেছেন মাত্র ৮ রানের ইনিংস। যদিও তাতে ছিল একটি ছক্কা। কিন্তু তাতে কি মন ভরে দর্শকের! তাদের তো চাই আরও। 

৩৬ ঘণ্টার ভ্রমণক্লান্তি নিয়ে জ্যামাইকা থেকে ঢাকায় আসেন গেইল। মাঠে উদ্দীপ্ত মনে হয়নি ক্যারিবীয় তারকাকে। দীর্ঘ ভ্রমণে ক্লান্ত মনে হয়েছে। কাল ব্যর্থ হয়েছেন গেইল। ব্যর্থ হয়েছে গোটা দল। রবি বোপারা, রুবেল হোসেন, আফ্রিদিদের সাঁড়াশি বোলিংয়ে মাত্র ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বরিশাল। যা বিপিএলের সর্ব নিæ স্কোর। আগের সর্ব নিম্ন রান ৬৭। ২০১৩ সালের প্রথম আসরে খুলনা রয়্যাল বেঙ্গল ৬৭ রানে অলআউট হয়েছিল চিটাগং কিংসের কাছে। কাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিলেটের বোলিং এতটাই দুর্বিসহ ছিল যে, বরিশালের মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান ডাবল ডিজিট স্পর্শ করেন। ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ সামী ২১ বলে ১৬ এবং আসরের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান এভিন লুইস ১৫ বলে ১২ রান করেন। আবহাওয়া ও উইকেটের সিমিং কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে বোপারা ছোট্ট ছোট্ট সুইং ও ইন কাটে তুলে নেন ৩ উইকেট। তিনটিই আবার এক ওভারে। তবে বিস্ময়মাখানো বোলিং করেন আফ্রিদি। ৪ ওভার বা ২৪ বলের স্পেলে ডট নেন ১৯ বল! রান দিয়েছেন মাত্র ৫। পরে সিলেট ১১.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

 

বরিশাল ইনিংস : ৫৮/১০, ১৬ ওভার, সিলেট ইনিংস : ৬২/১, ১১.২ ওভার

ফল : সিলেট ৯ উইকেটে জয়ী।

ঢাকা ইনিংস : ১৩৫/৭, ২০ ওভার, রংপুর ইনিংস : ১৩৬/৪, ১৮.২ ওভার

ফল : রংপুর ৬ উইকেটে জয়ী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর