মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

এবার লজ্জায় ডুবল সিলেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ব্যক্তিগত ও দলীয় পারফরম্যান্সকে পেছনে ফেলে এখন আলোচনায় উইকেট। টি-২০ ক্রিকেটে যে ধরনের উইকেট থাকা দরকার, তার ধারেকাছেও নেই মিরপুর কিংবা চট্টগ্রামের উইকেট। উইকেটের আচরণ এতটাই ‘রহস্যময়’ যে, ব্যাটসম্যানদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে প্রতিটি খেলায়। দর্শকরাও রুষ্ট উইকেটের এমন আচরণে। উইকেট কোনোভাবেই বুঝতে পারছে না ব্যাটসম্যানরা। স্পিনারদের মনে হচ্ছে সাক্ষাৎ যম!  তাদের ঘূর্ণিতে নাকাল হচ্ছেন দেশি-বিদেশি তারকা ব্যাটসম্যানরা। রবিবার উইকেট বুঝতে না পেরে ৫৮ রানে অলআউটের লজ্জায় ডুবেছিল বরিশাল বুলস। বরিশালকে ‘লজ্জার তিলক’ পরানো সিলেট সুপার স্টারস কাল নিজেরাই লজ্জায় ডুবল। রংপুর রাইডার্সের স্পিনত্রয় সাকিব-আরাফাত-নবীর ঘূর্ণিতে মাত্র ৫৯ রানে গুটিয়ে পড়ে। যা আসরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।

আগের ম্যাচের উজ্জীবিত পারফরম্যান্স নিয়ে খেলতে নেমে কাল শুরু থেকেই বিপদে পড়ে সিলেট। প্রথম ওভারে গালিতে ড্যারেন সামির ব্যর্থতায় জীবন পান দিলীপ মুনাভীরা। কিন্তু সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেননি। বরং পরের বলেই ফিরে যান সাজঘরে। সেই শুরু। আরাফাত সানি টানা চার ওভারে সাজঘরে ফেরান মুনাভীরা, জুনায়েদ সিদ্দিকী, মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল মিলনকে। চার ব্যাটসম্যানের আউট হওয়া দেখে কাল ফের গুঞ্জন! মুশফিকের রিভার্স সুইপে ক্যাচ দেওয়া, জুনায়েদের ফিরতি ক্যাচ, মুনাভীরার বোল্ড-সবগুলো আউটে পাতানোর গন্ধ পাচ্ছেন নিন্দুকেরা। বিশেষ করে শহিদ আফ্রিদির স্ট্যাম্পড আউটে পাতানোর গন্ধ আরও জোরালো হয়েছে। সাকিবকে আগের বলে বাউন্ডারি হাঁকান আফ্রিদি। পরের বলে স্টেপ আউট করে খেলতে যেয়ে আউট! ক্রিকেট বিশ্বে এমনটির দেখা মিলে না। সিলেটের ৫৯ রানের ইনিংসটির স্থায়িত্ব মাত্র ১১.৫ ওভার। ৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রংপুর ৯.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জিতে যায়। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয় সেমিফাইনালও। অন্যদিকে সিলেটের বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর