শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কী করবে শেখ জামাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কী করবে শেখ জামাল

বাংলাদেশের একমাত্র ক্লাব হিসেবে শেখ জামাল ধানমন্ডি এএফসি কাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা পেয়েছে। বিশকেকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কিরগিজস্তানের সামনে দাঁড়াতে পারেনি জাতীয় ফুটবল দল। অথচ শেখ জামাল কিরগিজস্তান চ্যাম্পিয়ন দলকে টপকিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যায়। বাংলাদেশের ফুটবলে যে দুর্দশা তাতে এএফসি কাপ ফাইনাল রাউন্ড খেলাটা বিশাল প্রাপ্তিই বলা যায়। শেখ জামালের যে শক্তি তাতে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে এই রাউন্ডে খেলার। কিন্তু ক্লাব সভাপতি মনজুর কাদের মনে করেন যে পরিস্থিতি তাতে ফুটবলপ্রেমীদের আশাপূর্ণ না হওয়ার শঙ্কা জেগেছে। গতকাল এএফসি থেকে ইস্ট জোনের গ্রুপিং নির্ধারণ করা হয়েছে। তাতে শেখ জামালের প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নামবে সিঙ্গাপুরের তাসাপিনস বা ওয়ারিয়র, মালয়েশিয়ার সিলাঙ্গর এফএ ও ফিলিপাইনের ল্যা সালে এফসি। শক্তির বিচারে সিঙ্গাপুর বা ফিলিপাইন ততোটা শক্তিশালী নয়। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে শেখ জামাল ও মালয়েশিয়ার মধ্যে।

শেখ জামাল সভাপতি মনজুর কাদের বলেন, ‘আমরা চাই, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে। কোচ ও বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। খুব শিগগিরই ক্যাম্প শুরু করবো। ভেন্যু বা ফিকশ্চার নির্ধারণ না হলেও হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচের শিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে। সেই হিসেবে প্রথম পর্বে শেখ জামালের প্রথম ২৩ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় ৮ মার্চ ও ১৫ মার্চ ৩য় ম্যাচ। পরের রাউন্ডে খেলাগুলো হবে ১২ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল ও ১০ মে। শেখ জামাল বিশকেকে যাদের নিয়ে খেলেছিল সবার মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি হয়েছিল। এমন বুঝাপড়া থাকলে দ্বিতীয় রাউন্ডেও নৈপুণ্য প্রদর্শন করা সম্ভব। শেখ জামাল ভালো করা মানে দেশের ফুটবলে সুনাম বৃদ্ধি হওয়া।’ কাদের বলেন, এক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে ২৬ ডিসেম্বর থেকে লিগ কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী দলবদল। স্বাভাবিকভাবে শেখ জামাল দলে তখন পরিবর্তন আসতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে শেখ জামাল করবেটা কি? বিদেশি ও লোকালদের নিয়ে চমৎকার সমঝোতা সৃষ্টি হয়েছে। কাদের তাই মনে করেন, জামালের সেট হওয়া খেলোয়াড় দলত্যাগ করলে তার প্রভাব এএফসি কাপে পড়বে। ফাইনাল রাউন্ড খেলার সম্ভাবনা বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া জাতীয় দল ব্যস্ত থাকবে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। এ সময়ে কোনো লোকাল আসর আয়োজন করা সম্ভব নয়। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে দুটো দল পেশাদার লিগে সুযোগ পাবে। তারাও বা দলবদল করবে কিভাবে? তাই ২৬ ডিসেম্বর দলবদল হয় কিসের যুক্তিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের এক কর্মকর্তা বলেন, এএফসি কাপের বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখবো। তবে দলবদল পেছানো সম্ভব নয়। খেলোয়াড় বা অন্য দলগুলো তখন আপত্তি জানাতে পারে। এএফসি কাপের কথা চিন্তা করে বড়জোর সময় বাড়াতে পারি। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর