শিরোনাম
সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিসিবির লাভ ২৫ কোটি টাকা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিসিবির লাভ ২৫ কোটি টাকা

বিপিএলের প্রথম আসর নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ ছিল না। ক্রিকেটার, ফ্র্যাঞ্চাইজি, বিসিবি-সবাই সন্তুষ্ট ছিল । সফল আয়োজনে বরং সবাই ফের মাঠে গড়াতে উত্সাহিত করেছিল বিসিবিকে। বিসিবিও নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে মাঠে নামায় বিপিএল। শেষও হয় ভালোভাবে। কিন্তু এরপরের কাহিনী জানা সবার। ম্যাচ পাতানো থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধে গড়িমসি; সবই হয়েছে। অবস্থা এতটাই বেগতিক ছিল যে, টুর্নামেন্টটি দুই বছর বন্ধ রাখে বিসিবি। অবশেষে ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ফের আয়োজন করে বিপিএল। বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনার পরও টানটান উত্তেজনার বিপিএলের তৃতীয় আসর শেষ হয় বেশ ভালোভাবে। বিপিএল ভালোভাবে শেষ করতে পেরে কাল মিডিয়ার মুখোমুখিতে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। জানান, বিপিএল থেকে বিসিবির লাভ হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। যদিও টাইটেল স্পন্সর, মিডিয়া স্বত্ব, টিকিট বিক্রয়, মোবাইল স্কোরিং স্বত্ব বিক্রয় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি থেকে বিসিবির টার্গেট ছিল প্রায় ৪০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় আসরে দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের অধিকাংশই পরিশোধ করেনি সাত ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ নিয়ে দেশে ও বিদেশে রিপোর্টও প্রকাশিত হয়। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে বিসিবি। তৃতীয় আসরে যাতে কোনো সমস্যায় না পড়ে, সেজন্য ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাবদ সাড়ে ৪ কোটি টাকা করে ৬ ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে ২৭ কোটি টাকা অগ্রিম নিয়ে নেয়। এছাড়া ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটি টাকা গ্যারান্টি মানিও নেয় বিসিবি। তাই পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে না। নিরাপদ বোধ করছেন ক্রিকেটাররাও। এছাড়া ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করার জন্য শর্তও জুড়ে দিয়েছিল বিসিবি। বিসিবির বেঁধে দেওয়া শর্ত মেনে ক্রিকেটারদের দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের শতভাগ পারিশ্রমিক পরিশোধ করেছে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও চিটাগং ভাইকিংস। এসব অবস্থান থেকেই বিসিবি সভাপতি বিপিএলকে সফল বলেছেন, ‘বিপিএলের প্রথম দুই আসরে পারিশ্রমিক নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। এবার আমরা চেয়েছিলাম সমস্যামুক্ত থাকতে। আমি মনে করি তৃতীয় আসরে কোনো প্রশ্নের জন্ম নেয়নি। আগের যে দুই আসরের চেয়ে এবার অনেক বেশি ডিসিপ্লিনড ছিল আসর।’ বিপিএল নিয়ে আপাতত কোনো প্রশ্নের জন্ম নেয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশ্ন উঠেনি কোনো ম্যাচ নিয়ে। তাই সন্তুষ্ট বিসিবি সভাপতি। সন্তুষ্ট বলেই কাল মিডিয়াকে জানিয়েছেন বিপিএল থেকে আর্থিক লাভের কথা, ‘বিপিএল মাঠে গড়ানোর সময় আমরা লাভ নিয়ে ভাবিনি। আগের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের যারা অংশ নিয়েছে এবার, তারা পাওয়ার অর্থ পরিশোধ করেই অংশ নিয়েছে। আগের তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনো অর্থ পাই। ওই টাকা আমাদের দিতেই হবে। আগে ৭০ কোটি টাকা বকেয়া ছিল। সেখান থেকে ৫০ কোটি টাকা আদায় করেছি। সব মিলিয়ে এবারের বিপিএল বেশ লাভবান একটি টুর্নামেন্ট। আমরা প্রায় ২৫ কোটি টাকা লাভ করেছি বিপিএল থেকে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর