বছর শেষ হতে বাকি মাত্র ৭২ ঘণ্টা। এরপর নতুন বছর। নতুন করে পথচলা। ২০১৫ সালকে পেছনে ফেলে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে হাঁটতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন বছরে শুরুতেই কঠিন চ্যালেঞ্জ বিসিবির সামনে। জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ খেলতে আসবে। কিন্তু বিসিবি বছর শুরু করবে অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপ দিয়ে। টেস্ট খেলুড়ে ১০ দেশসহ মোট ১৬ দল অংশ নিচ্ছে আসরে। কাপ ও প্লেট পর্বের ৪৮টি খেলা হবে দেশের চার শহরের ছয় ভেন্যুতে। ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিবে বিসিবি। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারও। তারপরও শঙ্কা একটি থেকেই যাচ্ছে। অবশ্য এ নিয়ে বিসিবি চিন্তিত নয় বলেন সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন। বিসিবি চিন্তিত না হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে ঢাকায় অবস্থান করছে আইসিসি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা দল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে এলেও অস্ট্রেলিয়াকে বাড়তি গুরুত্ব দেবে না বিসিবি।
অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে দুটি টেস্ট খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে স্থগিত করে সফর। অস্ট্রেলিয়ার এমন সিদ্ধান্ত বিস্ময়ের জন্ম দেয়। এবার যুব বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু খেলতে আসবে কি না, এখনো নিশ্চিত নয় বিসিবি। অবশ্য পজেটিভ দিক হচ্ছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে শ্যন কেরোলের নেতৃত্বে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরিদর্শক দল এখন ঢাকায়। সঙ্গে এসেছে আইসিসির নিরাপত্তা দলও। দুটি প্রতিনিধি দল ভেন্যুগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করবে। নিরাপত্তা দলগুলো নিয়ে শঙ্কিত নন বিসিবির সিইও, ‘আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপের আয়োজন করছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে এর আগে আইসিসির প্রতিনিধি দল ঘুরে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিরাও এসেছেন ভেন্যুগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে। অংশগ্রহণকারী যে কোনো দেশই নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে আসতে পারেন। এর আগে আরও দু-একটি দল এসেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে। অস্ট্রেলিয়ার দলটি নিয়ে বাড়তি ভাবনার কিছু নেই।’
১৬ দলের টুর্নামেন্ট শুরু ২৭ জানুয়ারি। কিন্তু দলগুলো আসতে শুরু করবে ১০ জানুয়ারি থেকে। যুব ক্রিকেটারদের ম্যাচ দেখতে ন্যূন্যতম টিকিট মূল্য ধার্য করার চিন্তা-ভাবনা করছে বিসিবি।