কেরালার রাজধানী ত্রিবান্দ্রামের হিলটন হোটেলে অবস্থান সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ফাইনালিস্ট আফগানিস্তান ও ভারতের। বছরের প্রথমদিন (শুক্রবার) সকালের সূর্যোদয় হতেই দুই দলের ফুটবলাররা কোচের নেতৃত্বে নেমে এলো লবিতে। ময়দানি লড়াইয়ের তিক্ততা ভুলে একে অপরকে জানালো নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ফুটবল যে দুই দলকে শত্রু শিবির থেকে টেনে এনে বুকে বুক মেলাতে পারে এ যেন তারই প্রমাণ! তবে আফগানিস্তান ও ভারত দুই দলই মারমুখী হয়ে অপেক্ষায় আছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার। আজ দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরালার রাজধানী ত্রিবান্দ্রামের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। একদিকে স্বাগতিক ভারত। অন্যদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান। দুই দলের টানা তৃতীয় এ সাফ ফাইনালে বিজয়ী হতে যাচ্ছে কে? আগের দুবার একটি করে শিরোপা জিতেছে ভারত (২০১১) ও আফগানিস্তান (২০১৩)। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শেষবারের মতো ফাইনাল খেলছে আফগানরা। এরপর থেকে তারা মধ্য এশিয়া অঞ্চলের টুর্নামেন্ট খেলবে। সাফের এ টুর্নামেন্টটা এ কারণেই বেশি করে স্মরণীয় করে রাখতে চায় আফগানিস্তান। টুর্নামেন্টে এরই মধ্যে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন শায়েস্তারা। গত চারটা ম্যাচে ১৬ গোল করেছে দলটা। যে কোনো ডিফেন্স লাইনের জন্যই তথ্যটা ভয়ঙ্কর। বিশেষ করে ভারতের জন্য। সেমিফাইনালে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েও দুটি গোল হজম করতে হয়েছে সুনীল ছেতরিদের। এটা ডিফেন্সে স্বাগতিকদের দুর্বলতাই প্রমাণ করেছে। অন্যদিকে আফগানরা এ টুর্নামেন্টে কেবল একটা গোল হজম করেছে! ডিফেন্স, মিডফিল্ড আর আক্রমণভাবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে যে কোনো দলের চেয়েই অনেকদূর এগিয়ে আফগানিস্তান। অথচ এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই ২০১১ পর্যন্ত কোনো ম্যাচই হারেনি ভারত। আফগানিস্তানের ফুটবল ইতিহাসে ভারতের নাম জড়িয়ে আছে সেই শুরু থেকে। তারা প্রথম ফুটবল ম্যাচটা খেলেছিল ব্রিটিশ ভারতের বিপক্ষে। ১৯৪১ সালের সেই ম্যাচে ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল আফগানরা। অবশ্য ওটা ছিল ফিফার অনুমোদনহীন একটা ম্যাচ। তবে ভারতীয়দের বিপক্ষে আফগানিস্তানের জয় পেতে বহুদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। ২০১৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে আফগানরা প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা ঘরে তুলে। ভারতের রয়েছে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবণতা।