সোমবার, ৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

যুবাদের কাপ জয়ের স্বপ্ন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

যুবাদের কাপ জয়ের স্বপ্ন

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। স্বপ্ন তাই দিগন্ত ছাড়িয়ে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের সারথী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে দীর্ঘদিন ধরে অনুশীলন করছেন যুবারা। আজ শেষ ধাপের অনুশীলন শুরু মেহেদী হাসান মিরাজদের। শেষ ধাপের অনুশীলন চলবে মিরপুর স্টেডিয়াম লাগোয়া একাডেমি চত্বর এবং চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত একাডেমি মাঠে চলবে অনুশীলন। এরপর চট্টগ্রামে। দেশকে প্রথমবারের মতো ‘বিশ্বকাপ ট্রফি’ উপহার দিতে মরিয়া মিরাজরা। তাদের ‘বিশ্বকাপ মিশন’ শুরু ২৭ জানুয়ারি।

ঘরের মাঠ বলে বিসিবিও স্বপ্ন দেখছে। যুবারা যাতে ব্যর্থ না হয়, সেজন্য চেষ্টার কমতি নেই। হেড কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের সঙ্গে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার স্টুয়ার্ট লকে। ল অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচিত মুখ। জাতীয় দলের এক সময় কোচও ছিলেন। চুক্তির চার ধাপের তিন ধাপ শেষ করেছেন অসি অলরাউন্ডার। আজ শেষ ধাপে যুব দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন ল। চূড়ান্ত অনুশীলন আবার দুই ধাপে বিভক্ত। প্রথম ধাপ চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১২ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় ধাপের অনুশীলন শুরু হবে চট্টগ্রামে। মিরপুরে অনুশীলন চলাকালীনই ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি খেলবেন মিরাজরা। ১১ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচ মিরপুরে ক্যারিবীয় যুবাদের বিপক্ষে। এরপর ১৪ ও ১৬ জানুয়ারি দুটি ম্যাচ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ২০ জানুয়ারি যুব দল ঢুকে পড়বে যুব বিশ্বকাপের করিডোরে। ২৭ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে যুব বিশ্বকাপ মিশন শুরু টাইগার যুবাদের। অবশ্য তার আগে ২২ ও ২৪ জানুয়ারি আরও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে জিম্বাবুয়ে ও ইংল্যান্ড যুবাদের বিপক্ষে।

যুব দলের কোচ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন বাবুল। এবার হেড কোচ। যদিও স্টুয়ার্ট ল রয়েছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডারের কাজ উপদেশ দেওয়া। দল নিয়ে কোচ বাবুল সন্তুষ্ট, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের দল খুব ভালো শেপে আছে। সবাই প্রস্তুত বিশ্বকাপ খেলতে।’ ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটি আবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। তারপরও প্রোটিয়াস যুবাদের বিপক্ষে টাইগার যুবাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুবই ভালো। দেশে ও দেশের বাইরে দুই দলের ১৪ ম্যাচে মিরাজদের জয় ১১টি। ৩১ জানুয়ারি স্কটল্যান্ড এবং ২ ফেব্রুয়ারি নামিবিয়ার বিপক্ষে খেলা। খেলা দুটি কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রথম ম্যাচ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে। গ্রুপ থেকে দুটি দল কাপ পর্বে উঠবে। কোচ বাবুলের টার্গেট গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হবো কি না, এখনই বলতে চাই না। সবার আগে আমাদের টার্গেট গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’

যুব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর থেকে নিয়মিত খেলছে বাংলাদেশ। শুধুমাত্র ২০০৬ ও ২০১২ সালে কাপ পর্বে খেলার যোগ্যতা দেখিয়েছিল যুব দল। এবার সেই সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বসেরা হওয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন মিরাজরা। এজন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর