বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

সাঁতারে সোনা জয়ের প্রত্যাশা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাঁতারে সোনা জয়ের প্রত্যাশা

গত এস এ গেমসে বাংলাদেশের সাফল্য ছিল অভাবনীয়। গেমস ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৮টি সোনা এসেছিল। অথচ জনপ্রিয় ডিসিপ্লিন সাঁতারে কোনো সোনাই আসেনি। রুপা ও তামা জিতে সন্তুষ্ট ছিলেন সাঁতারুরা। এবার সেই ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলারই কথা বললেন, ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান লায়লা নূর। বললেন, ‘কমপক্ষে তিনটি সোনা জয়ের আশা করছি।’ ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের আসাম ও গৌহাটিতে দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিকখ্যাত এ গেমস শুরু হবে। সাফল্য ধরে রাখতে  ক্রীড়াবিদদের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। ১৯৮৪ সালে সাফ নামকরণে গেমসের যাত্রা হয়। বাংলাদেশ প্রতি আসরেই সোনা জিতছে। ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত গেমসই ছিল বাংলাদেশের সেরা অর্জন। ১৮ সোনা অথচ ২০১০ সালে সাঁতার থেকে এসেছিল ৬ রুপা ও ২০ তামা। সোনা না পাওয়াটা ছিল সত্যিই বিস্ময়কর। এবার কি ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থাকবেন সুইমাররা। লায়লা নূর বলেন, ‘অতীত অতীতই। এবার আমরা ঘুরে দাঁড়াতে চাই। গত বছর আগস্ট থেকে সাঁতারুদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। অনেকে তাদের সেবা টাইম অতিক্রম করছে। দুর্ভাগ্যের শিকার না হলে আশা রাখি কমপক্ষে তিনটি সোনা জয়ে।’ নভেম্বর মাস থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ পার্ক অ্যাগুন দায়িত্ব নিয়েছেন। আগেও ছিলেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে কোর্সেস ট্রেনিং করে আসাতে আস্থার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন পার্ক। কোচ নিজেও শিষ্যদের সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী। গেমসে বাংলাদেশের ২০ সাঁতারু অংশ নেবেন। এর মধ্যে পুরুষ ১১ ও ৯ মহিলা প্রতিযোগী। মহিলাদের প্রশিক্ষণে রয়েছেন নার্গিস আরা অ্যানি। পার্কের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন মনির হোসেন ও মাহফুজুর রহমান। লায়লা নূর বলেন, অনেকের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও মাহফিজুর রহমান সাগর, কামাল হোসেন, মাহফুজুর রহমান শিলা, নাজমা আকতার জুয়েল ও টুম্পার সোনা জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। লায়লা বলেন, গত গেমসে সোনা না পাওয়ায় সুইমারদের ভিতর আলাদা একটা জেদ কাজ করছে। এ জেদই সোনা জয়ের পথ দেখাবে বলে তিনি আশা করেন।

সর্বশেষ খবর