শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

শেখ জামালকে আমলে নেয়নি বাফুফে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেখ জামালকে আমলে নেয়নি বাফুফে

এক সপ্তাহ ধরে জমজমাট নাটক চলছিল মামুনুল ইসলামদের দলবদল নিয়ে। শেখ জামাল ক্লাব বলছে তাদের কাছ থেকে আগাম অর্থ নিয়েছেন মামুনুলরা। তা অস্বীকার করছেন মামুনুলরা। চুক্তিভুক্ত ফুটবলারদের ক্লাবে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে দাবি জানিয়েছিল শেখ জামাল। আলটিমেটামও দিয়েছিল। কাল ক্লাবটির দাবিকে আমলেই নেয়নি বাফুফে। পাত্তাই দেয়নি ক্লাবের আলটিমেটামকে। বরং বাফুফের নির্বাহী কমিটি সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শেখ জামালের বিষয়গুলো আইন অনুসারে নিষ্পত্তি করবে। অবশ্য বাফুফে এ কথাও জানিয়েছে, এএফসি কাপে খেলার জন্য শেখ জামাল যদি নিয়মতান্ত্রিকভাবে কোনো ক্লাবকে অনুরোধ করে, সেটা বাফুফে গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালের আগে হোটেলে ঢুকে মামুনুলদের ক্লাবে যাওয়ার কথা বলেছিলেন শেখ জামালের কর্মকর্তারা। কিন্তু মামুনুলরা তাদের অনুরোধে সায় দেননি। বরং ফুটবল ফেডারেশনের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন। বাফুফে ফুটবলারদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে নিরাপত্তা দিয়ে বাফুফে অঙ্গন থেকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। ফুটবলারদের আচরণে রুষ্ট শেখ জামালের সভাপতি মঞ্জুর কাদের দিন দুয়েক আগে সংবাদ সম্মেলন করে মামুনুলসহ একাধিক ফুটবলারকে নিজেদের বলে দাবি করেন এবং মামুনুলকে অগ্রিম অর্থ দেওয়ার চেকও দেখান। অবশ্য বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন মামুনুল। এই জটিল বিষয়ের সুরাহা করতে গতকাল বাফুফে ভবনে জরুরি সভায় বসেছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা। সভা শেষে শেখ জামালের দাবি নিয়ে বাফুফের সহসভাপতি কাজী নাবিল বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে শেখ জামাল কী বলেছে, এটা আমাদের বিবেচ্য নয়। বাফুফে নিজেদের নিয়ম মেনেই চলবে। আমাদের বক্তব্য, ট্রান্সফার উইন্ডো শুরুর পর খেলোয়াড়রা মুক্ত ও স্বাধীন। তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের পছন্দ মতো দলে খেলতে পারবেন। উইন্ডো ট্রান্সফারের বাইরে কোোন ক্লাব কী স্বাক্ষর করিয়েছে, কত টাকা দিয়েছে বা অন্য কী করেছে, সেগুলো বাফুফে দেখবে না। খেলোয়াড়রা দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে তাদের পছন্দের ক্লাব বেছে নেবেন এবং যেখানে খেলতে চাইবেন, সেই ক্লাবে কাগজ জমা দেবেন। যদি এতে কোনো দ্বিমত থাকে কারও সেটা পর্যালোচনা করবে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি। এ বিষয়ে আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।’

বাফুফের বিপক্ষে অভিযোগ, তারা নিরাপত্তা দিয়ে ক্লাবের জিম্মায় ফুটবলারদের ছেড়েছে। এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন কাজী নাবিল, ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পর শুনতে পাই খেলোয়াড়রা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমরা তাদের হোটেল থেকে বাফুফে ভবনে নিয়ে আসি। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, কে কোন ক্লাবে খেলবে। বাফুফে কোনো ফুটবলারকে চাপ দেয়নি নির্দিষ্ট ক্লাবে খেলার বিষয়ে।’

কালকের সভায় উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ও নির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর