শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

‘দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে’

শায়লা শারমিন

আশির দশক থেকেই বাংলাদেশের মেয়েরা ক্রিকেট খেলা শুরু করে। মহিলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে কলকাতায় প্রীতি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল তারা। ধানমন্ডি আবাহনী মাঠে শীত এলেই নারী ক্রিকেটাররা অনুশীলনে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। ঠিকমতো নজর না দেওয়ার কারণে বেশি দূর আর এগোনো যায়নি। আসলে ওই সময় ক্রিকেটে রমরমা অবস্থা ছিল না। পুরুষ জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। ক্রিকেট বলতে তখন ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগকেই বুঝাত। এখন ক্রিকেটই বাংলাদেশের আশা-ভরসার প্রতীক। অন্য খেলার পাত্তাই নেই। মাশরাফিদের পারফরম্যান্স বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।

বসে নেই মেয়েরাও। আশির দশকে কয়েকটি ম্যাচ খেলে থেমে গেলেও নারী ক্রিকেটাররা এগোতে শুরু করেছে। এশিয়া গেমসে টানা দুবার রুপা জিতেছে। খেলছে টি-২০ বিশ্বকাপও। পুরুষদের প্রথম রাউন্ড শুরু হয়ে গেছে। মেয়েরাও মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৪ সালে নিজ দেশে নারী ক্রিকেটারদের ফল সুখকর ছিল না। নবম হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। বাছাই পর্বে চমৎকার পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এবার টি-২০ বিশ্বকাপে মূল লড়াইয়ে সুযোগ পেয়েছেন জাহানারারা।

মেয়েদের ব্যাট চালানো দেখে এক সময় হাসাহাসি হতো। এখন আর সে অবস্থা নেই। ক্রিকেটে মেয়েরাও দেশের সুনাম কুড়িয়ে আসছে।

এটা ঠিক, টি-২০ বিশ্বকাপের মতো মেগা আসরে চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপের সামর্থ্য রাখে না বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার কঠিন গ্রুপে পড়েছে, তারপরও ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ। ব্যাট ও বলে সমানভাবে জ্বলে উঠতে পারেন বলে শায়লা শারমিনকে দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় ধরা যায়। শারমিন এখন ভারতে। ঢাকা ছাড়ার আগে বলে গেছেন, ফাইনালের আশ্বাস দিতে পারি না, তবে আমরা হতাশ করার মতো রেজাল্ট করব না। সবাই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারলে গ্রুপে অন্তত ২-১টা ম্যাচ জেতা অসম্ভবের কিছু হবে না। প্রস্তুতিটা একেবারে খারাপ হয়নি। সুতরাং বুঝেশুনে খেলতে পারলে হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর