মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

এখনই পরীক্ষা দিচ্ছেন না তাসকিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এখনই পরীক্ষা দিচ্ছেন না তাসকিন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ তাসকিন। তাতে কী? ঘরে তো আর বসে থাকা যায় না। তাই অনুশীলন করতে মিরপুরে ছুটে আসেন দেশের এই তারকা ক্রিকেটার —বাংলাদেশ প্রতিদিন

টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে কলকাতা থেকে রবিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মাশরাফি, সাকিবরা পৌঁছার আগের দিন ঢাকায় চলে আসেন তাসকিন আহমেদ। দলের সঙ্গে না এসে আগে আসার একটাই কারণ, বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ হওয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায়। তাই একটু আগেই দেশে ফিরেন। দেশে ফিরে ক্রিকেটাররা যখন লম্বা বিরতিতে যাচ্ছেন, তখন তাসকিন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নিজেকে ঘষা-মাজায়। গতকাল সকাল থেকেই বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিককে নিয়ে অনুশীলন করেন। ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ঘাম ঝরান বোলিং করে। যার অধিকাংশ বলই ছিল বাউন্সার। এই বাউন্সারের জন্যই তার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ বলেছে আইসিসি। অবশ্য পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেননি তাসকিন। তাই সাময়িক নিষিদ্ধ হন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে এবং এই পরীক্ষা যে কোনো সময় দিতে পারবেন তিনি। তবে বিসিবি চাইছে না এখনই পরীক্ষায় বসুক তাসকিন। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে বোলিং অ্যাকশন শুধরে যেন পরীক্ষা দেন তাসকিন। একই কথা আরেক নিষিদ্ধ বোলার আরাফাত সানির ক্ষেত্রেও।

দল দেশে ফিরেছে। ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আগস্টে ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলা ছাড়া আপাতত কোনো ক্রিকেট নেই বাংলাদেশের। তাই লম্বা বিরতি পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরতি থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকবেন সবাই। ঢাকা ঘরোয়া ক্রিকেটে কোনো বাধা না থাকায় ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট খেলতে পারবেন তাসকিন ও আরাফাত। প্রিমিয়ার ক্রিকেট খেলেই বোলিং অ্যাকশন শুধরে নেবেন বলে জানালেন বিসিবি পরিচালক আকরাম খান, ‘আমরা আশাবাদী তাসকিন ও আরাফাত দুজনই আবার ফিরবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা খেলতে পারবেন না। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারবেন। এখানে খেলে তারা তাদের বোলিং অ্যাকশন শুধরে নেবেন। বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর পর আত্মবিশ্বাসী হলেই তাদের পরীক্ষায় পাঠানো হবে।’ এবার যদি পরীক্ষায় পাস করতে না পারেন দুজন, তাহলে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে হবে দুজনকে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়াবে। ২০১৪ সালের জুনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নেন চণ্ডিকা হাতুরাসিংহে। প্রথমে চুক্তি ছিল বিশ্বকাপ ক্রিকেট পর্যন্ত। এরপর সেটা বাড়ানো হয় আরও এক বছর। একই অবস্থা বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের বেলায়। দুজনের সঙ্গেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। গতকাল বিসিবি সিনিয়র সহসভাপতি মাহাবুবুল আনাম, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বৈঠক করে ত্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন। সভায় দুই কোচের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করা হয়, সব লেবেলের ক্রিকেটে চাকিং করে বোলারদের খুঁজে বের করে তাদের শোধরানো। চাকিং করা বোলারদের খুঁজে বের করে তাদের শোধরানোর জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটিও গঠন করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আকরাম জানান। তিনি বলেন, ‘সব লেবেলের ক্রিকেটে অবৈধ অ্যাকশনের বোলারদের খুঁজে বের করার জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কমিটি তাদের নিয়ে কাজও করবে।’ উল্লেখ্য, এর আগেও বিসিবি একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছিল। কিন্তু কমিটি কোনো কাজ করছে না।

সর্বশেষ খবর